গত কয়েকদিনে নিপা ভাইরাসের প্রকোপে কেরলে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’-এর রিপোর্ট অনুসারে কেরলের কোঝিকোড় থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পেরম্বরা থেকেই নিপা ভাইরাস ছড়িয়েছে। ওই অঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে প্রথম মারা যান একজন নার্স ।
হু’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী নিপা বা নিভ ভাইরাসের বাহক প্রধানত বাদুর জাতীয় প্রাণী। শুধুমাত্র বাদুর নয়, নিপা শূকরের বর্জ থেকেও ছড়ায়।
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার নিপাতে প্রথম এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। সেখানে পোষ্য কুকুর, বেড়াল, ঘোড়া, ছাগলের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ওই অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই শূকর প্রতিপালন করা হয়। গবেষণার পর দেখা যায়, শূকরদের থেকেই নিপার প্রভাব ছড়িয়েছে পোষ্যদের দেহে।
২০০৪ সালে নিপা ভাইরাস থাবা বসায় বাংলাদেশে। সেখানে ৩৩জনের মৃত্যু হয় এর প্রভাবে। হু’-এর রিপোর্ট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত নিপার প্রভাবে ৪৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, নিপা ভাইসারের আক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কা ৭০ শতাংশ। সাধারণভাবে প্রথমে জ্বর এবং মাথা যন্ত্রণা ও ঝিমুনিই এই রোগের লক্ষণ। পরবর্তী পর্যায়ে জ্বর বাড়ে ও সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন রোগী। এরপর ধীরে ধীরে কোমাতে চলে যায় ও তারপর মৃত্যু অনিবার্য।
চিকিৎসকদের কাছে কোনো প্রতিকার না থাকায় এই রোগ দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।তবে, এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে।