দিল্লীর আর্চবিশপ অনিল কুটোর সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্ণাটক রওনা হওয়ার আগে নবান্নে তিনি বলেন ,” আমাদের তাঁদের(আর্চবিশপ) প্রতি অসীম শ্রদ্ধা রয়েছে । প্রত্যেক সম্প্রদায়, জাতির মানুষের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা গোটা দেশের সমস্ত আর্চবিশপদের শ্রদ্ধা করি । এমনকি কলকাতায় আর্চবিশপ আছেন, আপনারা চাইলে তাঁর মতামতও নিতে পারেন। আমার মনে হয় যা তাঁরা বলছেন , তা সম্পূর্ণ সত্যি কথা।”
প্রসঙ্গত, এক খোলা চিঠিতে দিল্লীর আর্চবিশপ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি আবেদন করেছেন যে ২০১৯ সালে সর্বধর্ম সমন্বয়ের এক দেশ নির্মাণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রে পরিবর্তন প্রয়োজন। চিঠিতে আর্চবিশপ পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে এই উন্নততর দেশ নির্মাণের জন্যে সকলকে প্রার্থনা করার আহ্ববান। দিল্লীর আর্চবিশপের সাথে এক মত হয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচিনের আগে দেশে অসাম্প্রদায়িক শাসকদল ক্ষমতাচ্যুত হোক, তাই চান বাংলার আর্চবিশপ থমাস ডিসুজা। এদিন থমাস ডিসুজা বলেন , ” দিল্লীর আর্চবিশপ বলেছেন প্রার্থনা করুন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয় ভালো জীবনযাপনের লক্ষ্যে। সাধারণ মানুষ যেন নিজের অধিকার পায়, তার লক্ষ্যে। আমরা সবাই চায় ২০১৯ সালে কেন্দ্রে এমন একটি সরকার সরকার আসুক যা সংবিধানকে মান্যতা দেবে, মানুষের অধিকারকে রক্ষা করবে। গতকাল দেখেছি গুজরাটে একজনকে সবার সামনে মেরে ফেলা হল। এটা ঠিক নয়। সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয়া হচ্ছে। এখন দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেই পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই দিল্লীর আর্চবিশপ প্রার্থনার কথা বলেছেন। ”
বাংলায় যেখানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরিবেশ রয়েছে, গোটা দেশে সেই একই সম্প্রীতির পরিবেশ যেন বজায় থাকে তার জন্য ।