সরকারের ৭ বছর পূর্তিতে ট্যুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী ঋজু- “২০শে মে ২০১১-য় প্রথম মা-মাটি-মানুষের সরকার শপথ নেয়। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে সকলকে জানাই অভিনন্দন। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাব। বাংলা হবে বিশ্বসেরা- এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”
উন্নয়নের সাত বছর। বাম সরকারের অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে সাত বছর আগে এই দিনেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় সূচনা হয় নতুন এক উন্নয়নের অধ্যায়।কুৎসা, অপপ্রচার, ধর্মীয় মেরুকরণের হাত থেকে বাংলা কে বাঁচিয়ে, রাজ্যবাসীর জন্য একের পর এক জনহিতকর প্রকল্প রূপায়ণ করে বাংলাকে বিশ্বসেরার আসনে পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর বাংলার নতুন রূপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে যাবে মা-মাটি-মানুষের সরকার। রাজ্যবাসীকে এই দিনে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাম সরকারের ফেলে রাখা পাহাড় প্রমান ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০১১ সালের ঐতিহাসিক ২০শে মে তে উন্নয়নের সরকার পথ চলা শুরু করে । বাকিটা সাত বছরের উন্নয়নের ইতিহাস।
গত সাত বছরে রাজ্যবাসী খাদ্যাসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছে দু টাকা কেজি দরে চাল। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ বিনামূল্যে পেয়েছে তাদের নিজেস্ব ‘বাংলার বাড়ি’ । সরকারী হাসপাতাল থেকে রাজ্যবাসী এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জনহিতকর প্রকল্প হিসাবে রাষ্ট্রসংঘ কন্যাশ্রী কে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের হাত ধরে বাংলায় এসেছে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ। শিল্পায়নের প্রসারে উদ্দেশ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে তৈরি হয়েছে জমি নীতি। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে বাংলা ভারতের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে। কৃষি, ইজ অফ ডুইং বিজনেস সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারত সরকার বাংলাকে পুরস্কৃত করেছে।জঙ্গলমহল থেকে পাহাড় , সর্বত্র বাংলা জুড়ে যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হচ্ছে, সর্বত্র তা প্রতিহত করা হয়েছে ।