বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের রাজভবনগুলতে রাজনৈতিক পুনর্বাসন পেতে শুরু করেন বিজেপি-আরএসএসের নেতারা । রাজভবনে বসেই রাজনৈতিক মতামত ট্যুইটও করতে শুরু করেন “অরাজনৈতিক” রাজ্যপালরা। এমনকি রাজ্যপালের চেয়ারে বসেও নিজেদেরকে গর্বিত সঙঘী বলতেও দ্বিধা করেননি এদের কেউ কেউ।
গত বেশ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যপালদের ভূমিকা নিয়ে খুব বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বিজেপি যাতে সরকার গঠন করতে পারে তার জন্য রাজ্যপালরা অনেকেই অতিসক্রিয় হয়ে ওঠেন । গোয়া , মনিপুর, মেঘালয় এ ভোট পরিবর্তিতে রাজ্যপালদের ভূমিকা নিয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠে।
কর্ণাটকের ভোটের পর রাজ্যপাল পদের আরো সম্মানহানি হয়েছে। কুমারস্বামী-কংগ্রেস ১১৭ জনের তালিকা দেওয়া সত্ত্বেও আরএসএস প্রাক্তন প্রচারক বজুভাই ভালা ইয়েদুরাপ্পাকে সরকার গড়তে ডাকেন ১০৪জন এর সমর্থন থাকা ইয়েদুরাপ্পা । সংখ্যাগরিষ্টতা প্রমানে বিজেপি চেয়েছিল ৭ দিন। আগ বাড়িয়েই ১৫ দিন সময় দেন প্রাক্তন আরএসএস প্রচারক ভালা। নিন্দার ঝড় ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন আস্থা ভোটের। কেনাবেচায় ব্যর্থ হয় ঘোড়া ব্যবসায়ীরা । আস্থা ভোটের আগেই রণেভঙ্গ দেয় বিজেপি। ইস্তফা দেন ইয়েদুরাপ্পা । জয় হয় গণতন্ত্রের।
এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার অবিলম্বে ভালার অপসারণ দাবী করেছেন। রজনীকান্তও তার তীব্র সমালোচনা করেছেন। রাজ্যপালকে ভিলেনের তকমা দিয়েছেন গোটা দেশের গণতন্ত্র প্রেমী মানুষ।
কর্ণাটকের পর এ প্রশ্ন আরো জোরালো হয়েছে – দেশের রাজভবনগুলো কি এখন আরএসএসের শাখা?