সাম্প্রতিক কালে ত্রিপুরায় একাধিক বার হামলার মুখে পড়েছে তৃণমূল। আক্রান্ত হয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের যুব নেতা-নেত্রীরা। দিনকয়েক আগেই এ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘গুণ্ডামি ও অরাজকতাকে সংস্কৃতি করে ফেলেছে ত্রিপুরা বিজেপি।’ এবার ত্রিপুরায় বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার জন্য তাদের ওপরে বিজেপি লাগাতার হামলা করছে বলে অভিযাগ করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
মঙ্গলবার দিল্লীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মানিক সরকার বলেন, দেশের সংবিধান ত্রিপুরায় কাজ করে না। এলাকার নির্বাচনে বিরোধী দলগুলিকে মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটে ঢালাও রিগিং হচ্ছে। এক সময় বামেদের ওপরে আক্রমণ দিয়ে শুরু করেছিল বিজেপি। এবার তাদের নিশানায় কংগ্রেস, তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধীরা। রাজ্যের বিধায়কদের ওপরেও হামলা করছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ মানিক সরকারের। তিনি বলেন ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ১৬ জন বাম বিধায়ক রয়েছেন। বেশিরভাগ বিধায়কই তাদের নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। আমি নিজে টানা ১৫ বার চেষ্টা করেও সেখানে যেতে পারিনি। বাদল সরকার সহ রাজ্যের ৩ বাম বিধায়কের উপরে হামলা করেছে বিজেপি।
বিরোধী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি রাজ্যে হামলার শিকার মিডিয়া কর্মীরাও। গত দেড় বছরে ৩৫ সাংবাদিকের ওপরে হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মানিক সরকার। তাঁর আরও অভিযোগ, আগরতলায় ৪ মিডিয়া হাউসের ওপরে হামলা হয়েছে। এসব দেখে মনে হবে ত্রিপুরা দেশের বাইরে। দেশের কোনও আইন এখানে চলে না। মানিক সরকার বলেন, গত কয়েক বছরে বিজেপির পারফর্মেন্স শূন্য। ভোটের সময়ে যেসব গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কিছুই করতে পারেনি তারা। বেকারদের ঠকিয়েছে, চাকরিজীবীদের ঠকিয়েছে, গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছে। আসলে বিজেপি চায়, ত্রিপুরায় একটাই দল থাকবে। ওরা চায় ত্রিপুরাকে একদলীয় রাজনীতির একটা ল্যাবেরাটরি হিসেবে তৈরি করতে। আর এতে যদি ওরা সফল হয়ে যায় তাহলে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ওরা তা করবে।