নেই কণামাত্র পরিবর্তন। নতুন করে আফগানিস্তান দখলের পর যতই শান্তির বুলি আওড়াক তালিবান, আসলে যে তাদের মধ্যে কোনও বদল আসেনি, তা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এবার এক আফগান সেনাকর্মীর মাথা কেটে গান গেয়ে বীভৎস উল্লাসে মাততে দেখা গেল তালিবানকে। ‘ওয়াশিংটন এগজামিনার’ নামের এক সংবাদমাধ্যম প্রথম এই ছবি প্রকাশ করেছে।
পাশাপাশি, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও। সেই ভিডিও দেখে আতঙ্কে শিহরিত বিশ্ব। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ছ’জন রাইফেলধারীকে দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে। পাশাপাশি আরেক জনকে দেখা গিয়েছে যার হাতে রয়েছে দু’টি রক্তাক্ত ছুরি। তাদের সামনে পড়ে রয়েছে এক আফগান সেনার মুণ্ডহীন ধড়। উজ্জ্বল সবুজ রঙের উর্দি থেকে পরিষ্কার, দেহটি এক আফগান সেনারই। সেই মৃতদেহকে ঘিরে তালিব যোদ্ধাদের উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে ভিডিওয়। সেই সঙ্গে তাদের হাতেও দেখা যায় নিহত সেনার মাথা। ওই সেনাকে ‘মুজাহিদিন’ বলে উল্লেখ করছিল জেহাদিরা। সেই সঙ্গে তালিবান সুপ্রিমো আখুন্দজাদার নামেও স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। প্রসঙ্গত, শনিবারই এক তালিবান মুখপাত্রকে দাবি করতে দেখা গিয়েছে, তারা মোটেই হিংসাত্মক নয়। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, আফগান নারীদের অধিকার রক্ষাতেও সচেষ্ট তারা। সব মিলিয়ে একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গড়ার কথাই জানাচ্ছে তালিবান। কাকতালীয় ভাবে এদিনই ভাইরাল হল ওই ভিডিও।
উল্লেখ্য, এই শিরশ্ছেদ কিংবা তার ভিডিও প্রকাশ করা, জঙ্গিদের কাছে নতুন কিছু নয়। আফগানিস্তানের আগে ইরান কিংবা সিরিয়াতেও এই ধরনের নৃশংসতা দেখিয়েছে আইসিস কিংবা অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীও। কিন্তু তালিবানের এই উল্লাসের ভিডিওর অন্য তাৎপর্য রয়েছে। কুড়ি বছর পরে ফের আফগানিস্তান দখল করেছে তারা। গোড়া থেকেই তারা দাবি করেছে, এটা তালিবান ২.০। এবার অন্য এক তালিবানকে দেখবে বিশ্ব। কিন্তু সেই দাবি যে কেবলই কথার কথা, তা পরিষ্কার হয়ে যেতে শুরু করেছিল আগেই। এই নৃশংস ভিডিও ফের বুঝিয়ে দিল, তালিবান আছে তালিবানেই।