ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ড জুড়ে থাকেন একাধিক ভাষার মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে থাকেন এখানে। আর এই ভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন, আসল চ্যালেঞ্জ ২০২৪। ফলে ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন থেকেই মানুষের মন বুঝে নিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে সামনেই রয়েছে পুরসভা ভোট। নাগরিকদের কাছে বা ‘মিনি ইন্ডিয়া’র কাছে পুরসভা ভোটের আগেই এখন থেকে বার্তা পৌছে দেবে তৃণমূল।
ইতিমধ্যেই তাই আট ওয়ার্ডে পাঁচ নেতার সাথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীদের জুড়ে দেওয়া হয়েছে নজরদারির জন্যে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ভবানীপুর বিধানসভার ভোট তত্ত্ব। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তিনি ছিলেন সাংসদ। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। ভবানীপুর কেন্দ্রটিকেই বেছে নিয়েছিলেন মমতা। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। সেবার মমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান ৭৩,৬৩৫ ভোট। আর নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পান ১৯,৪২২ ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে জয়ী হন। মমতা ভোট পেয়েছিলেন ৭৭.৪৬ শতাংশ। সিপিএমের ঝুলিতে যায় মাত্র ২০.৪৩ শতাংশ ভোট।
২০১৬-তেও ভবানীপুরই ভরসা। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও এই কেন্দ্রেই প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার তিনি পেয়েছিলেন ৬৫ হাজার ৫২০ ভোট। শতকরা হিসেবে ৪৮.৫৩ শতাংশ। কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ছিলেন দীপা দাশমুন্সি। তাঁকে ২৫ হাজার ৩০১ ভোটে হারিয়েছিলেন মমতা। দীপা দাশমুন্সি পেয়েছিলেন ৪০,২১৯টি ভোট। বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু। তিনি পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ২৯৯ ভোট। শতকরা হিসেবে ১৯.৪৮ শতাংশ। বিজেপির ভোট প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছিল।