তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের পাল্টা বুধবার দিল্লিতে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসের আয়োজন করেছিল বিজেপি। দিল্লিতে এই মঞ্চে গেরুয়া শিবিরের দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক সাংসদের উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গেলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মঞ্চে দেখা গেল না আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’কে।
সম্প্রতি কেন্দ্রে মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের পর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে বাবুলকে। এই ঘটনার পর রাজনীতি নিয়ে একরকম নিঃস্পৃহতাই দেখাচ্ছিলেন বাবুল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা আমায় আনন্দের সঙ্গে সমবেদনা জানাচ্ছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রী থাকাকালীন গত ৭ বছরে কোনও মেসেজ পাইনি।’ তাঁর বক্তব্যে একটা বিষয় স্পষ্ট ছিল তিনি কোনওরকম সমবেদনা চান না। শুধু তাই নয়, মন্ত্রীত্ব খোয়ানোর পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল।
গোটা ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় তীব্র জল্পনা। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই বুধবার দিল্লিতে বিজেপির ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি মঞ্চে’ বাবুলের অনুপস্থিতি সেই জল্পনার আগুনে বাড়তি ঘি ঢালছে। তবে শুধু রাজঘাটের ধর্না মঞ্চ নয়, রাজ্য বিজেপির সাম্প্রতিক কোনও কর্মসূচিতেও সেভাবে দেখা যায়নি বাবুলকে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতির জল ঘোলা হতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের পাল্টা হিসেবে রাজঘাটে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনের আয়োজন করেছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি রাজু বিস্তা, জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিং, সুকান্ত মজুমদার, লকেট চ্যাটার্জি, দেবশ্রী চৌধুরীর মত ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বরাও। রাজ্য বিজেপির সমস্ত সাংসদদের পাশাপাশি এখানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কেও। তবে জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি মঞ্চের ধারে কাছেও আসেননি আসানসোলের বিজেপি প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল।
রাজ্য রাজনীতিতে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি মন্ত্রী পদ থেকে বাবুলকে সরানোর পর এবার গেরুয়া শিবিরের থেকে দূরত্ব পালন করছেন জনপ্রিয় এই সাংসদ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।