এবার উত্তর ও মধ্য কলকাতার কয়েকটি জায়গায় জলজমার সমস্যা সমাধানের জন্য শহরের ড্রেনগুলির সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করার জন্য নথি প্রস্তুত করছে পৌরসংস্থা। এপ্রসঙ্গে কেএমসি’র এক আধিকারিক বলেন, “নগর উন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক বিভাগ মৌলালীর কাছে ড্রেনের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ডিপিআর অনুমোদন করেছে। প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ১৪০ কোটি টাকা।” এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে অঞ্চলগুলি উপকৃত হবে সেগুলির মধ্যে রয়েছে ঠনঠনিয়া, সিআর অ্যাভিনিউর কিছু অংশ, রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট, কৈলাশ বোস স্ট্রিট, সুকিয়া স্ট্রিট, বিধান সরণি, বাগবাজার, কলেজ স্ট্রিট, তালতলা, এসএন ব্যানার্জি রোড, বিডন স্ট্রিট, লেনিন সরণি, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কিছু জায়গা। এপিসি রোড নর্দমা, এজেসি বোস রোড নর্দমা এবং লেনিন সরণি নিকাশী তিনটি নর্দমার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নিকাশী ও বর্ষার জলের স্রোত একটি বড় জলপ্রপাতের মাধ্যমে পালমার বাজার নিকাশী পাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যায় মৌলালী এলাকায় অবস্থিত নর্দমাটি।
উল্লেখ্য, চ্যানেলের সাথে সম্পর্কিত একটি বিচ্ছিন্ন প্রকল্প জেএনএনইউআরএম এর অধীনে গত ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল। শ্যামবাজার থেকে এপিসি রোড ধরে মৌলালী এবং এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে এজেসি বোস রোড ধরে মৌলালী পর্যন্ত কাজ করা হয়েছিল। তবে মৌলালী থেকে পালমার বাজার পাম্পিং স্টেশনের অববাহিকার পাশের বাকি কাজ তহবিলের অভাবে শেষ করা যায়নি। ২০ ফুট প্রশস্ত এবং ১৫ ফুট গভীর এবং ১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ বক্স ড্রেনটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। শহরের অববাহিকার এই নর্দমাটি দেশের প্রথম এবং বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম জল নিকাশী লাইন যা ১৮৭৬ সালে তৈরি হয়েছিল। প্রথমটি ১৮৭০ সালে লন্ডনে তৈরি করা হয়, দ্বিতীয়টি হ্যামবার্গে ১৮৭৪ সালে। এক আধিকারিক জানান, “কাজটি চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমাদের মাথায় রাখতে হবে যাতে এর জন্যে বাসিন্দাদের কোনওভাবেই অসুবিধা না হয়। বৃষ্টির জল এবং নিকাশী জলের জন্য মাইক্রো টানেলিংয়ের মাধ্যমে একটি বাইপাস নিকাশী লাইন তৈরি করা হবে।”