আগামী ২২ এপ্রিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। সেদিন বাংলার আরও ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। তার আগে আজ, নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কৃষ্ণনগরে জনসভা করেন মমতা। এরপর গাইঘাটায় জনসভা করে ব্যারাকপুরে আসেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বিজেপি শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের ব্যাখ্যা ও আগামী দিনে আরও কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।
বিজেপিকে দোষারোপ করে মমতা বলেন, “এঁরা দাঙ্গা লাগিয়ে দেশপ্রেম দেখাচ্ছে। গুলি চলল চার জনের ওপর একবারও দুঃখ প্রকাশ করল না। যারা মানুষের রক্তে রাজনীতি করেন তাদের আমরা বিশ্বাস করি না। বাংলা, দেশের ভালো চায়। আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। আমরা দেশপ্রেমের জন্ম দিই। বাংলার দেশপ্রেম তোমাদের থেকে বেশি। বাংলা বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, আফ্রিকার মুক্তিযুদ্ধে এগিয়ে গেছে। এটাই আমাদের উদারতা।”
পাশাপাশি, বর্তমান ভারতের কোভিড পরিস্থিতির জন্যেও তিনি দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মমতা বলেন, “উনি বা ওঁর সরকার কোনও পরিকল্পনাই করে নি। করলে আগামী এক বছরের পরিকল্পনা করে রাখতেন। ফের এভাবে করোনার বাড়াবাড়ি হতো না। আমরা বাংলাকে গুজরাত বা মহারাষ্ট্র হতে দেব না। নিজের জায়গাই সামলাতে পারে না, এসেছে বাংলায়। এসে কোভিড ছড়িয়ে চলে যাচ্ছে। আমি এরপর কী করে সামলাব? তখন আমাকে দোষ দেবে।”
এরপর মমতা বলেন, “আগামী মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর ৫ লক্ষ চাকরি হবে। আরও উন্নয়ন হবে রাজ্যের। আর দোকানে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। একেবারে দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবে সরকার। বাংলার মা বোনেদের হাতে ৫০০-১০০০ টাকা করেও দেব। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে কম সুদে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে পড়াশোনার জন্য। আগে থেকেই ট্যাবের ১০ হাজার টাকা উচ্চমাধ্যমিকের ছেলে মেয়েরা পাচ্ছে আর ক্লাস নাইনের পড়ুয়াদের সবুজসাথীর সাইকেল দিচ্ছি।
মমতা বলেন, রাজ চক্রবর্তী এবং কাজল সিংহ- এঁরা দুজনেই মিষ্টি এবং দুষ্টু। ওঁরা যেমন জনগণের পাশে থেকে কাজ করবে তেমনই কেউ অন্যায় করতে এলে সেই অন্যায়কে দমন করবে। অমিত দা অসুস্থ, তাই তাঁকে এবার ছাড়তে হয়েছে। অমিতদাই কাজলের নাম বলে দিয়েছেন। ব্যারাকপুর আর খড়দহের মানুষদের অনুরোধ করছি, ওই সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে আর জেতাবেন না, আবার তাহলে আগুন লাগাবে। আমাকে আসতে হবে। আমি আগুন নেভাতে আসতে চাই না। ভালো কাজে আসতে চাই। একদম শেষে তিনি বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার চাওয়ার দাবিকে কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলায় নতুন করে ‘ডবল ইঞ্জিন’ চাই না। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী- এগুলোই আমাদের সরকারের এক একটা ইঞ্জিন।”