শুক্রবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি কথোপকথনের টেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সেই কথোপকথন শীতলকুচির কাণ্ডের পর হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শীতলকুচির পার্থপ্রতিম রায়ের মধ্যে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হরেনি ‘এখন খবর ‘। কিন্তু তৃণমূল মোক্ষম প্রশ্নটা তুলে ফেলল। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন ও সুখেন্দুশেখর রায় জানতে চাইলেন, কোন এক্তিয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কথাবার্তা টেপ করতে পারে কেউ? মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তাই যদি টেপ হয় তবে যে কোনও ব্যক্তির তথ্যের সুরক্ষা কোথায়?
ডেরেক ওব্রায়েন প্রশ্ন তুলে দেন, “কে এই অডিও টেপ রেকর্ড করছে? কে দেশের মানুষের সুরক্ষাকে এভাবে কাঠগড়ায় তুলছে?” প্রসঙ্গত এই কাণ্ড নিয়ে সিআইডি তদন্তের কথা আজই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে সুখেন্দুশেখর বলেন, “যে কোনও লোকেরই ফোন ট্যাপ করা হতে পারে। এবং তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা লোকসভায়, রাজ্যসভায় একাধিক বার এই অভিযোগ তুলেছিলাম। তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছিলেন, কোনও ভাবেই মন্ত্রীদের কথাবার্তা টেপ হয় না। তিনি যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা যে মিথ্যে কথা তা প্রমাণ হল। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত আমাদের কথাবার্তা টেপ করে মিথ্যের ফ্যাক্টরির ম্যানেজাররা।”
এররপর আসে অমিত মালব্যর অতীতের নানা দাবি ও তার সত্যতার প্রশ্নও। তৃণমূল সাংসদরা বলেন, অতীতে সিএএ-নিয়েও আন্দোলনের সময়েও বলা হয়েছিল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় উত্তেজক স্লোগান দিয়েছে। একজন সাংবাদিক সম্পর্কে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাও মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তৃণমূলের স্পষ্ট অভিযোগ, বাংলার নির্বাচনকে সামনে রেখে এগুলি করা হয়েছে। সুখেন্দুর আর্জি, “বাংলার মানুষই এই ঘটনার বিচার করুন।” প্রসঙ্গত রাজ্যে এসে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহরা বারংবারই দাবি করছেন, বিজেপি ২০০ আসন পেতে চলেছে। আগেও এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন ডেরেক। এই দাবি করার প্রবণতাকে মাইন্ড গেম বলে চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। আজও তাকে বলতে শোনা গেলন, “ডোন্ট প্লে মাইন্ডগেম ইন বেঙ্গল।” একই রকম ভাবে তিনি প্রশ্ন করলেন, কে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর? কে’ই বা হবে বিরোধী দলনেতা?”