শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা। তালিকায় নাম দেখার পরই প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়বেন তিনি। এদিন বিকেলে উৎসবের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘড়িয়ার রথতলা এলাকা। ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান দলের কর্মীরা। দলের কর্মী সমর্থকরা বাজি ফাটিয়ে নাচানাচি শুরু করেন। এরপর রথতলা এলাকায় জগন্নাথ দেবের মন্দিরে পুজো দেন মদন।
এরপর রথতলা থেকে দক্ষিণেশ্বর এলাকায় চলে আসেন তিনি। সেখানে নিজের নামে দেয়াল লিখন শুরু করেন তিনি। পরে নিজের গলায় খোল ঝুলিয়ে তা বাজাতে থাকেন। আর সেই সঙ্গে ‘খেলা হবে’, ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। মদন মিত্র বলেন, এখানকার মানুষ ভেবেছিলেন ভোটে হারার পর মদন মিত্র হয়তো আসবেন না। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে মানুষ দেখেছেন বৃষ্টিতে, আমফানে, লকডাউনে যে কোনও সময়, যখন প্রয়োজন হয়েছে মদন মিত্রকে পাওয়া গিয়েছে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, এখানে রাম-বাম সবাই একসঙ্গে হয়ে গেলেও কিছু এসে যাবে না। তৃণমূল জিতবে কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। কামারহাটিতে গার্মেন্টস হাব সহ অন্যান্য শিল্প স্থাপন করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করার চেষ্টা করা হবে বলেও দাবি করেছেন মদন মিত্র। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে মদন মিত্রকে এনে কামারহাটি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করেছিলেন মমতা। ওই বছরে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মদন মিত্র। এরপর ২০১৬ সালে ফের কামারহাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন মদন মিত্র।
কিন্তু চিটফান্ড মামলায় ওই বছরে কারাগারে থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন তিনি জয়ের মুখ দেখতে পারেননি মদন। ওই নির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী মানস মুখোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করে কামারহাটির মানুষ। এর পর ২০১৯ সালের উপ নির্বাচনে ভাটপাড়া আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন মদন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী পবন সিংহের কাছে হেরে যান তিনি। আর একুশের নির্বাচনে কামারহাটিতে দলনেত্রী মমতা সেই মদনের ওপরেই আস্থা রাখলেন। তবে তার আগে থেকেই নিজের এলাকায় সক্রিয় ছিলেন মদন। নিয়মিত সভা-সমিতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি।