সারা ভারতে সবথেকে দ্রুত জমি ব্যাঙ্ক গঠনের কাজটি যে কয়েকটি রাজ্য করেছে, সেই তালিকায় প্রথম পাঁচে বাংলা। এই ব্যাপারে বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছে রাজ্য। বস্তুত জমির তথ্য ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ায় যে পাঁচ রাজ্য শীর্ষে, তাদের মধ্যে চারটিতেই বিজেপিশাসিত সরকার নেই। একমাত্র মধ্যপ্রদেশই বিজেপিশাসিত। কিন্তু ডবল ইঞ্জিনের বাকি সব রাজ্যকে হারিয়ে জমির পরিসংখ্যান ডিজিটাল করার দৌড়ে শীর্ষ তালিকায় স্থান করেছে বাংলা, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ নামক সংস্থা প্রকাশ করেছে ল্যান্ড রেকর্ডস অ্যান্ড সার্ভিস ইনডেক্স। গত বছর থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ শুরু হয়েছে। বিগত ২০২০ সালে এই তালিকায় বাংলা ছিল ষষ্ঠ স্থানে। সেখান থেকে মাত্র এক বছরের মধ্যেই উঠে এসে হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এই সংস্থার পক্ষ থেকে যে সমীক্ষা করা হয়েছে সেখানে দেখা হয়েছে, কোন রাজ্যে জমির চরিত্র কেমন, জমির পরিমাণ কতটা, মালিকানার প্রকৃতি, ব্যবহারের প্রক্রিয়া, ফাঁকা জমি কতটা আছে, ব্যবহৃত জমি, পরিত্যক্ত জমি, উর্বর জমি, অনুর্বর জমির বিস্তারিত বিবরণ। একইভাবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী শিল্পস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপযোগী জমি কোথায় আছে, সেই তথ্যও রাজ্যগুলি তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, এই বিশদ তালিকা নির্মাণেই দেখা যাচ্ছে বাংলার ডিজিটালের কাজ দ্রুত এবং নিখুঁতভাবে অগ্রসর হয়েছে। দেশের ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ধরে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষায় সবথেকে ইতিবাচক কাজ যে রাজ্যগুলি করেছে তার মধ্যে বাংলা রয়েছে প্রথম তিনের মধ্যে। দেশের প্রতিটি রাজ্যের জমির পরিসংখ্যান নির্মাণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তিতে উন্নত অনেক রাজ্যকে পিছনে ফেলে সামগ্রিক ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বাংলা।