দিল্লী হিংসার আগে উস্কানিমূলক ভাষণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। একবছর আগের সেই ঘটনা নিয়ে কোনও আফসোস নেই ‘গোলি মারো’ স্লোগান খ্যাত কপিল মিশ্রের মনে। স্পষ্ট জানালেন, ‘গত বছর ২৩ জানুয়ারি যা করেছি, প্রয়োজন পড়লে আবারও করব।’ দিল্লী হিংসার বর্ষপূর্তি দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘সেদিন নিজে যা করেছি তা নিয়ে কোনও অনুতাপ আমার না থাকলেও একটাই আফসোস থাকবে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মা এবং কনস্টেবল রতন লালকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।’
একবছর আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর। একসময় এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে। রাজধানীর সেই হিংসায় আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মা এবং কনস্টেবল রতন লাল সহ মৃত্যু হয়েছিল ৫৩ জনের। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে মিছিল বের করে সিএএ প্রতিবাদীদের হটানোর চেষ্টা করেন এই বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। মিছিল থেকে পুলিশকে সামনে রেখে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ‘গোলি মারো’ স্লোগানও প্রথম তিনি দেন বলে শোনা যায়। তাঁর বক্তব্যের পরেরদিনই অশান্তি বাঁধে দিল্লীতে। অনেকেই দিল্লীর হিংসার পিছনে কপিলের উস্কানিমূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছিলেন। তবে সেই নিয়ে যে কোনও খেদ বা আক্ষেপ তার মনে নেই তা আরও একবার জানালেন কপিল। এমনকী দিল্লী হিংসার কথা বলতে গিয়ে টেনে আনেন প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজধানীতে ঘটা অশান্তির কথাও।
বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেন, ‘এক বছর আগে যে জিহাদি শক্তি সিএএ নিয়ে অশান্তি ছড়িয়েছিল সেই একই পথে ২৬ জানুয়ারিও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে লালকেল্লা সহ রাজধানীর রাজপথে। দেশের শান্তি নষ্ট করতে চলছে বিরাট ষড়যন্ত্র। ভারত বিদ্বেষী, জিহাদি শক্তিগুলো টাকা ঢালছে তাতে। প্রতিবাদ-অবস্থানকে দাঙ্গার রূপ দেওয়ায় পরিচিত প্যার্টানই ঘুরে ফিরে আসথে বারবার।’ একইসঙ্গে বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, এইভাবে রাস্তা বন্ধ করে এমন দেশবিরোধী অবস্থান চললে আগেরবার তিনি যা করেছেন আবার করবেন।