কলকাতা ময়দানের বহু যুদ্ধের বিশ্বস্ত সৈনিক তিনি। তাঁর নির্ভরযোগ্য দস্তানা বহুবার ম্যাচ জিতিয়েছে কলকাতার ৩ বড় ক্লাবকেই। তবে জীবনযুদ্ধে আর জিততে পারলেন না। দীর্ঘ লড়াই শেষ করে আজ দুপুরে হার মানলেন প্রাক্তন গোলকিপার প্রশান্ত ডোরা। মঙ্গলবার রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানে খেলা অতি পরিচিত এই ফুটবলার।
প্রায় একমাস ধরে জ্বরে ভুগছিলেন জাতীয় দলে খেলা এই তারকা গোলকিপার। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অতি বিরল হেমোফাগোসিটিসি লিম্ফোহিস্টিওসাইটোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সহজ করে বললে, এই রোগে রক্তের প্রয়োজন হয় খুব বেশি। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে প্রশান্ত ডোরার। কিছুদিন আগে তাঁর দাদা তথা প্রাক্তন গোলরক্ষক হেমন্ত ডোরা রক্ত দিয়ে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন সকলকে।
তিনি বলেছিলেন, তাঁর ভাইয়ের ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন। প্লেটলেট দ্রুত নেমে যাচ্ছে। শীঘ্রই রক্ত চাই। এমনকি তৃণমূল নেতা মদন মিত্র তাঁকে দেখতে গিয়ে সবকরম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু সব চেষ্টাই সার! মঙ্গলবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন প্রশান্ত। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক ছেলেকে। প্রাক্তন জাতীয় গোলরক্ষকের প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলার ফুটবল জগতে।