ভারতের যে কোনও প্রান্তে যাতায়াতের সময় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে, শুক্রবার এমনই জানাল কেন্দ্র। সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য গগৈ যখন বাড়ির বাইরে থাকবেন, তাঁর নিরাপত্তার জন্য আট থেকে বারোজন উর্দিধারী সর্বক্ষণ মোতায়েন থাকবেন। বাড়িতেও আট থেকে বারোজন সিআরপিএফ কমান্ডো গগৈয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এর আগে দিল্লী পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছিল। গত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন গগৈ। তারপর গত বছর মার্চ মাসে রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার জন্য মনোনীত হন ৬৬ বছরের গগৈ। বর্তমানে সিআরপিএফ ভিআইপি সিকিউরিটি টিমের সুরক্ষায় রয়েছেন গগৈ-সহ ৬৩ জন ব্যক্তিত্ব।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন রাম মন্দির, অসম এনআরসি, ৩৭০ ধারা, রাফালে, বিচারপতি লোয়া হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন রঞ্জন গগৈ। কাকতালীয়ভাবে তাঁর দেওয়া রায়ে সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পেয়েছে মোদী সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অস্ফুট গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল সেসময়। শুরু হয়েছিল সমালোচনাও। আসলে নিজের কার্যকালে একের পর এক বিতর্কিত ইস্যুর সমাধান করেছেন গগৈ। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর জীবনের ঝুঁকি আছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। আর সেকারণেই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ সতর্ক শাসক শিবির।
প্রসঙ্গত, এর আগে রঞ্জন গগৈ যখন রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন, তখন বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, পদত্যাগের কিছুদিন বাদেই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধান বিচারপতি পদের মর্যাদা লঙ্ঘন করেছেন গগৈ। কেউ কেউ আবার অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার পুরস্কার পেয়েছেন গগৈ। তবে, সেসব সমালোচনায় কর্ণপাত না করে গতবছর রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। যদিও, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার জন্য সরকারের কাছ থেকে বাড়তি বেতন বা ভাতা কনটাই নেন না তিনি। এবার তাঁর নিরাপত্তা পাওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী শিবিরগুলিতেও।