মিডিয়া বা গণমাধ্যম হল গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এদের স্বাধীনতা খর্ব করা অনুচিত। বুধবার নাম না করে এভাবেই কেন্দ্র কে কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে অবক্ষয়ের যুগে চলছে সংবাদপত্রগুলি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘”যদি সংবাদপত্রকে অবাধে লেখার অনুমতি না দেওয়া হয় তবে কি কোনও গণতন্ত্র প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারে?”
উল্লেখ্য, এদিন বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ‘বর্তমান’-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তের জীবন ও কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিষ্ঠিত সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা যায় না।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “বর্তমান সময়ে সংবাদপত্রগুলির অধঃপতনের যুগ চলছে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রয়াত হন বরুণ সেনগুপ্ত। এদিন তাঁর স্মৃতিচারণায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন যে কীভাবে রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর শুরুর সময়ে একাধিক নির্দেশ, উপদেশ দিয়েছিলেন বরুণবাবু। মমতা আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত।”
এরপর সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলে মমতা বলেন, “এখনকার সময়ে দিল্লী থেকে কোনও নির্দেশ এলেই মিডিয়ার সকলের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই দিনগুলির পরিস্থিতি খুব আলাদা ছিল।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংগ্রহশালার পাশে যদি সাংবাদিকতার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয় তবে সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, এদিন বরুণ সেনগুপ্ত সংগ্রহশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম-সহ আরও অনেকে।