পুলওয়ামায় জঙ্গীহানার পাল্টা দিতে পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই তথ্য আগাম ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে এবার সংসদে সরব হবেন বিরোধীরা। এ বিষয়ে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথা বলবে কংগ্রেস। যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন বা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তোলা হবে কি না, তা বিরোধী শিবিরে আলোচনা করে ঠিক হবে।
২০১৯-এ লোকসভা ভোটের আগে পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে জঙ্গী-হামলার পরে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গী শিবিরে হানা দেয়। রিপাবলিক টিভি-র বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে নিজেদের টিআরপি বাড়ানোর অভিযোগের তদন্তে, চ্যানেলের কর্ণধার অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে টিআরপি নির্ধারক সংস্থা বার্ক-এর প্রধান পার্থ দাশগুপ্তের হোয়াটসঅ্যাপ-এ বার্তালাপ মহারাষ্ট্র পুলিশ আদালতে পেশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বালাকোট হানার তিন দিন আগেই অর্ণব পার্থকে হানার কথা বলছেন।
কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এত স্পর্শকাতর তথ্য কী ভাবে ফাঁস হল? ‘সামরিক অভিযান’-এর তথ্য ফাঁস করাকে অ্যান্টনি ‘রাজদ্রোহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই ‘দেশদ্রোহিতা’-র কোনও ক্ষমা হয় না। সরকারের উচিত এখনই তদন্ত শুরু করা।
শিন্দের যুক্তি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন হয়েছে। মোদী সরকারের কোনও পদস্থ ব্যক্তিই এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলতে চাননি। এমনকি মন্ত্রীসভার বৈঠকের পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। অর্ণব অবশ্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন। আবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই তথ্য ফাঁস করেছেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, শুধু সামরিক অভিযানের তথ্য ফাঁস নয়। মোদী সরকার কী ভাবে চলছে, এই কথোপকথন তারই প্রতিফলন।