আদালতের নির্দেশে রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো। তবে নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে গা-জোয়ারি। রবীন্দ্র সরোবরের সামনে শুক্রবার সকালে ভিড় জমান একদল পুণ্যার্থী। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা বোঝাতে গেলে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
শুক্রবার সকালে বেশ কিছু পুণ্যার্থী রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে ভিড় জমান। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। পুণ্যার্থীদের দাবি, মাত্র ছ’ঘণ্টার মধ্যে ছটপুজো সেরে নেওয়া সম্ভব। আর সামান্য সময়ে ছটপুজো করলে কোনও সমস্যা হবে না। রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার অনুমতি না মিললে মূল দরজার সামনেই ছটপুজো করার হুঁশিয়ারি পুণ্যার্থীদের। তবে সুভাষ সরোবরের সামনে এখনও কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের মতো জাতীয় পরিবেশ আদালত এবছরও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। যে বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ১৬ তারিখ, সেখানে শুনানি না হয়ে অন্য বেঞ্চে শুনানিতে সরোবরে ছটপুজোর কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছিল ২৩ তারিখ। কিন্তু ২০ তারিখ ছটপুজো। তাই ২৩ তারিখ শুনানি হলে, কোনও লাভ হবে না। এই যুক্তিতে কেএমডিএ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করে। সেইমতো বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে কোনও সংশোধন হবে না বলে জানিয়ে দেন তিন বিচারপতি। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরের দরজা। যাতে কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে না পারেন তাই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।