করোনার জেরে ভারতীয় বোর্ড এ বছর ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট না হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জুনিয়র ক্রিকেটাররা। আতঙ্কে ভুগছে বাংলার অধিকাংশ জুনিয়র ক্রিকেটার।
কাজি জুনাইদ সঈফি, গত মরশুমে বাংলার হয়ে রঞ্জিও খেলেছেন। তিনিও আতঙ্কিত। বলছিলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৯–এ ভাল খেলেই অনূর্ধ্ব ২৩–এ জায়গা করে নিয়েছিলাম। তারপর রনজিতে। খেলা না হলে খুব খারাপ হবে। জুনিয়ররা পিছিয়ে পড়বে।’ প্রয়াস রায়বর্মন, করণ লাল, দিগন্ত নিয়োগী, অভিষেক পোড়েল, গোলাম মোস্তাফা, সুদীপ ঘরামি, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, সন্দীপন দাসের মতো জুনিয়ররাও আতঙ্কিত।
অনূর্ধ্ব ১৯, অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দলকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন ঋত্বিক রায়চৌধুরি। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার সাফল্যই তাঁর রনজির দরজা খুলে দিয়েছিল। জুনিয়রদের কথা ভেবে ঋত্বিকও আতঙ্কিত। বলছিলেন, ‘বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা খেলেই ক্রিকেটাররা তৈরি হয়। এ বছর কোচবিহার ট্রফি, সি কে নাইডু ট্রফি বাতিল হলে জুনিয়রদের কাছে বড় ধাক্কা। একটা বছর ওদের জীবন থেকে চলে যাবে। সবাই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কিছু করার নেই। বাস্তব মেনে নিতেই হবে।’
বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২৩ দলের কোচ প্রণব নন্দী ও সৌরাশিস লাহিড়ীও মেনে নিচ্ছেন ক্ষতির কথা। প্রণব নন্দী অবশ্য চান না বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট হোক। বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ বলছিলেন, ‘জুনিয়র ছেলেদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা উচিত নয়। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ রাখা উচিত।’ তবে, খেলা না হলে যে ক্রিকেটারদের ক্ষতি, সে কথা স্বীকার করে বললেন, ‘বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা তো সিনিয়র দলে ঢোকার প্ল্যাটফর্ম। প্রতিযোগিতা না হলে জুনিয়ররা প্রমাণ করার সুযোগ হারাবে। তাদের অপূরণীয় ক্ষতি। বোর্ড বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ১ বছরের ছাড় দিলে ভাল হবে।