করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে রোগীর শরীরে চাই পুষ্টিকর খাদ্য। আর সেই মতই হাসপাতালে ভর্তি থসকে করোনা আক্রান্তদের জন্য নতুন খাদ্যতালিকা তৈরি করল বাংলার মমতা সরকার। সেই তালিকায় কি নেই? সকালে ব্রেকফাস্টে থাকছে চা এবং ২টো বিস্কুট। এরপর ৪টে পাউরুটি, কলা, দুধ, ডিম। লাঞ্চের খাবারে থাকবে ভাত, ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস এবং দই। যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের জন্য থাকবে পনির বা সোয়াবিন অথবা মাশরুমের ব্যবস্থা। এমনকি রাতের খাবারেও থাকছে ভাত অথবা রুটি, ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস। হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের এবার থেকে এই তালিকা অনুযায়ীই দেওয়া হবে খাবার। সেই কারণে জনপ্রতি খাবারের খরচও বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করল রাজ্য সরকার।
আজ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয়, খাবারের মান ও পরিমাণও কত হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর সেই সূত্রেই আগে যেখানে জনপ্রতি বরাদ্দ ছিল ১৫০ টাকা, তা আরও ২৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হল। সেই কারণেই আগে যেখানে তিন বেলার খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের ব্যবস্থা ছিল, সেখানে এখন থেকে সকালের চা এবং সন্ধ্যের টিফিনও যুক্ত হল করোনা রোগীদের খাবারের তালিকায়।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই রোগীপিছু দৈনিক খাবারের বরাদ্দ ঘোষণা করে খাবারের তালিকা ও মান নির্দিষ্ট করে দেয় রাজ্য সরকার। তাতে যথেষ্ট খুশি ছিলেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা আক্রান্তরা। তবে এবার বরাদ্দ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিলো রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, খাবারের তালিকার পাশাপাশি পরিমানও বাড়ানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে শুরুতেই চা ও ২টি বিস্কুট দেওয়া হবে। প্রাতরাশে মিলবে ৪টি পাঁউরুটি, ডিম সিদ্ধ, কলা ও ২৫০ মিলিলিটার দুধ। দুপুরে মিলবে ১৫০ গ্রাম ভাত, ৫০ গ্রাম ডাল, ৯০ গ্রাম ওজনের মাছ বা মাংস, ১০০ গ্রাম দই, ১০০ গ্রাম তরকারি। বিকেলে চা ও সঙ্গে ২টি বিস্কুট। রাতে ১০০ গ্রাম ভাত বা রুটি, ৫০ গ্রাম ডাল, ৭৫ গ্রাম তরকারি ১০০ গ্রাম মাছ বা মাংস। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই নতুন করে খাবার বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এদিন এমনটাই জানিয়েছে বাংলার স্বাস্থ্য দফতর।