চীন বারবার আগ্রাসনের চেষ্টা চালানোতেই প্যাংগং, গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বেড়েছে। গালওয়ানে সেনা সংঘর্ষ হয়েছে। তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনা তৈরি আছে। মঙ্গলবার লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিন, বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ‘ডেভলপমেন্ট অন আওয়ার বর্ডারস ইন লাদাখ’ শীর্ষক আলোচনায় ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সীমান্তে লালফৌজের হানা নিয়ে গোড়া থেকেই সরকারকে বিদ্ধ করে আসছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। বিশেষ করে মোদী সরকারের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন সেই সমালোচনার জবাব দিলেন রাজনাথ। শুধু তাই নয়, সদনের নিম্নকক্ষে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি প্রস্তাবও পেশ করেন তিনি। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লোকসভায় আরও জানান, লাদাখে প্রায় ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি দখল করেছে চীন। এছাড়া, ১৯৬৩ সালের চীন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তির নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি বেজিংয়ের হাতে তুলে দিয়েছে ইসলামাবাদ।
গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চীনা বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে আগস্ট ২৯ ও ৩০ তারিখে। একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান বদলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে এগিয়ে আসে প্রায় ২০০ চীনা সৈনিকের একটি দল। তবে এবার প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। আগ্রাসন প্রতিহত করে এতদিন পর্যন্ত ফাঁকা পড়ে থাকা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। বেগতিক দেখে পিছিয়ে যায় চীনা ফৌজ। যদিও চীনের দাবি, তারা সীমান্তে কোনও রকম আগ্রাসন দেখায়নি। উল্টে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধেই সীমান্ত পার হয়ে উত্তেজনা ছড়াবার অভিযোগ তুলেছে।