করোনা রোধে বিদেশের ওপর আর ভরসা নয়, দেশের মাটিতেই ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে৷ কিন্তু করোনার প্রতিষেধক বাজারে আনার ক্ষেত্রে কোনওরকম তাড়াহুড়ো করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ভারত বায়োটেকের চেয়াম্যান কৃষ্ণা এল্লা৷ যেখানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তা সত্ত্বেও কোভ্যাক্সিন তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে নির্দিষ্ট সব নিয়ম মানা হবে বলেই জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান৷ কারণ প্রতিষেধকটি যাতে সবদিক দিয়ে নিরাপদ হয়, তা নিশ্চিত করাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷
ভারত বায়োটেকের এমডি এবং চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এল্লা বলেন, “আমাদের উপরে দ্রুত ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার জন্য প্রচণ্ড চাপ রয়েছে৷ কিন্তু ভ্যাকসিনটি যাতে নিরাপদ হয় এবং সেটির গুণমান নিশ্চিত করাকেই আমরা সবথেকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি৷ ভুল ভ্যাকসিন দিয়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে আমরা মারতে চাই না৷” এদিন কৃষ্ণা এল্লা আরও জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিন তৈরিতে ক্লিনিক্যাল রিসার্চের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানদণ্ডগুলি মেনে চলা হচ্ছে৷ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এজেন্সি ভ্যাকসিনের অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে৷ ফলে কবে ভ্যাকসিন বাজারে আসবে, তা এত আগে থেকে বলা সম্ভব নয়৷”
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যানের কথায়, “এটার সঙ্গে আমাদের দেশের সম্মান জড়িয়ে রয়েছে৷ আমরা করোনা ভাইরাসের সেরা ভ্যাকসিনটি তৈরি করতে চাই৷ গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা কোনওরকম আপোস করছি না৷ সেরা ভ্যাকসিনটিই আমরা তৈরি করব৷” এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্থাগুলির ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেই সন্দিহান৷ কিন্তু আমরা জিএসকে বা স্যানোফির মতো সংস্থার থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই৷ অতীতেও রোটা ভাইরাস, পোলিওর প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রেও তা প্রমাণিত হয়েছে৷” প্রসঙ্গত, মানব দেহে কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল মাত্র ৩০ দিনেই শেষ হয়েছে৷ আর এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে সংস্থা।