এবার এক চাঞ্চল্যকর ভিডিওয় সামনে এলো মধ্যপ্রদেশ পুলিশের পাশবিক আচরণ। এক শিখ যুবকের চুল ধরে রাস্তা দিয়ে হিঁচড়োতে হিঁচড়োতে নিয়ে গেল এক পুলিশকর্মী। এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ।
ভাইরাল হওয়া ওই ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে যে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশকর্মী এক শিখ যুবকের চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই একই ভিডিওয় আরও দেখা যাচ্ছে যে মাথায় পাগড়ি বাঁধা এক আরও শিখ যুবক তাঁকে বাধা দিতে এলে সেই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন ওই পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির চুল ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁর নাম প্রেম সিং।
ভিডিওয় প্রেম সিং-কে চিত্কার করে হিন্দিতে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা আমাদের মারছে। আমাদের মেরে ফেলছে। ওই পুলিশ আমার চুল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাদের দোকান খুলতে দেবে না।’ ভিডিওয় ওখানে উপস্থিত অন্যান্যদের কাছে হাত জোড় করে সাহায্যের আবেদন জানাতেও দেখা যায় তাঁকে।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা এই ঘটনার ভিডিও টুইট করে পুলিশের সমালোচনা করেন। প্রেম সিং নামে ওই আক্রান্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পুলসুদ পুলিশ আউটপোস্টের কাছে একটি তালাচাবির দোকান চালান বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘প্রেম সিংকে মারধর করা হয়, তাঁর পাগড়ি ছিঁড়ে তাঁর চুল ধরে বহু লোকের চোখের সামনে দিয়ে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় পুলিশ।’ এই ঘটনা শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে বলে অভিযোগ সালুজার।
অন্যদিকে, প্রেম সিং-এর অভিযোগ পুলিশকে ঘুষ দিতে রাজি না হওয়াতেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। তড়িঘড়ি দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নরোত্তম মিশ্র। গোটা ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারওয়ানি জেলার পুলিশ সুপার।