উপকূল লাগোয়া হওয়ায় বাংলায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই থাকে। আর তার ফলে নানা সময়ই বিপাকে পড়তে হয় রাজ্যবাসীকে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার স্থায়ী সিটিজেন কল সেন্টার চালু হচ্ছে নবান্নে। যে কেউ ফোন, এসএমএস, মেল বা টুইট করে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে প্রশাসনকে সজাগ করতে পারবেন। উপগ্রহ প্রযুক্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান তৎক্ষণাৎ জেনে প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি বলেন ত্রাণ ও পুনর্বাসনে কোথাও অনিয়ম হলে সেটাও কল সেন্টারে জানানো যাবে। আম্পানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে যে ধরনের ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে, কল সেন্টার তৈরি হয়ে গেলে তার পুনরাবৃত্তি করা যাবে বলে প্রশাসনের কর্তারা আশাবাদী।
জাভেদ খান বলেন, রাজ্যে বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রতি বছর বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেটা যতটা সম্ভব কমানোর লক্ষ্যেই স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’ ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং প্রাণহানি রুখতেই স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে পাঁচ আসনের সিটিজেন কল সেন্টার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বন্যা, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে সরাসরি খবর নবান্নে পৌঁছে যাবে। কল সেন্টারে কেউ একবার ফোন বা এসএমএস করলে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে ফোন করলে তাঁর নাম-ঠিকানা, ভোটার আইকার্ড নম্বর দেখা যাবে। কোথা থেকে ফোন করছেন, জানা যাবে। ফোনের কথোপকথন রেকর্ড হয়ে মেসেজ জেনারেট হবে। সেই এসএমএস পৌঁছবে বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের কাছে। এই সফটওয়্যার নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিপদ আসার আগেই স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক হতে পারবে।