আজ, শুক্রবার, ১৯ জুন সাত রাজ্যের ১৮টি রাজ্যসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ (৪ আসন) ছাড়াও নির্বাচন রয়েছে গুজরাত (৪), ঝাড়খণ্ড (২ আসন), মধ্যপ্রদেশ (৩ আসন), মণিপুর (১ আসন), মেঘালয় (১ আসন) ও রাজস্থানে (৩ আসন)। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
মণিপুর নিয়েও আগ্রহ থাকবে। কারণ, রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে-আগেই বিজেপির তিন বিধায়ক মণিপুরে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ইস্তফা দিয়ে বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিন মন্ত্রী-সহ আরও ৬ বিধায়ক। এই অবস্থায় মণিপুরের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনে ফল কী হয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের যথেষ্ট আগ্রহ থাকবে। বিজেপি প্রার্থী করেছে লিসেম্বা সঞ্জাওবাকে। কংগ্রেসের প্রার্থী টি মাঙ্গি বাবু।
গুজরাতের চার আসনের মধ্যে বিজেপি তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেস দু’টিতে লড়ছে। কিন্তু, না শাসকদল বিজেপি, না কংগ্রেস- নিজেদের ভোটে দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার মতো পূর্ণ সংখ্যা কারও হাতেই নেই।
মধ্যপ্রদেশেও রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তার কারণ, গত মার্চে কমল নাথ সরকারকে বিপাকে ফেলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ই মধ্যপ্রদেশের তিনটি আসনের জন্য দু’জন করে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন।
রাজস্থানেও একই অবস্থা। তিনটি আসনের জন্য এখানেও বিজেপি-কংগ্রেস দু-জন করে প্রার্থী দিয়েছে। কোভিড লকডাউনের কারণে মার্চে নির্ধারিত থাকা রাজ্যসভার ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যায়। লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হলে, রাজ্যসভায় ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণের সময় যাতে কোভিডের সুরক্ষাবিধি লাগু থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য মুখ্যসচিবদের আগে থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছে কমিশন।