যেভাবে শক্তি নিয়ে বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল উম্পুন তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত শতাব্দী প্রাচীন টালা ট্যাঙ্কের। কিন্তু না, উম্পুনের দাপটের সামনেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রইল টালা ট্যাঙ্ক। পুর আধিকারিকেরা জানিয়েছেন কোনও ক্ষতি হয়নি তার।
কিন্তু কিভাবে ঘটল এই বুড়ো হারের ভেলকি? জানা গেছে গত বুধবার দুপুরে তড়িঘড়ি নেওয়া এক সিদ্ধান্তই রক্ষা করল এই টালা ট্যাঙ্ককে।
কি সেই সিদ্ধান্ত? এমনিতে হাইড্রোলিক সিস্টেম এ টালা ট্যাঙ্ক থেকে অবিরাম পদ্ধতিতে অনবরত জল ওঠানামা করে। কখনই ট্যাঙ্কে জল দাঁড়িয়ে থাকে না। কিন্তু দুপুরের পর পরিস্থিতি দেখে আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রি পর্যন্ত কোন জল নামতে দেওয়া যাবে না। দ্রুত চাবি বন্ধ করে জল নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। টালার ট্যাঙ্কে জল ধরার ক্ষমতা ৯ মিলিয়ান গ্যালন। 8 মিলিয়ন গ্যালন জল দ্রুত পূর্ণ করে ফেলা হয় ট্যাঙ্কেরর চারটি প্রকোষ্ঠে। জল-সহ গোটা ট্যাংকের ওজন দাঁড়ায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। যাকে এক চুলও নড়ানো ক্ষমতা আমফানের ছিলো না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিগত ১০০ বছরে এত বড় রকমের ঝড়ের কোনো অভিজ্ঞতাও নেই কারোর। প্রাক্তন জল বিভাগের বেশ কিছু আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু সাহায্য করতে পারেননি কেউ। দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে শুধুমাত্র মেয়রকে জানিয়েই টালা ট্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। আর সেই সিদ্ধান্তেই কেল্লা ফতে হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা