দিনকয়েক ধরেই আরও খারাপ হচ্ছিল পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। যার জেরে গতকালই একশো ছাড়িয়ে গিয়েছিল দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। আজ তা বেড়ে হল ১১৪। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৩৫৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪,৪২১-এ। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজধানীতে করোনা সংক্রমণ রুখতে একদফা পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার কেজরিওয়াল জানান, তার প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে পাঁচটি পরিকল্পনা ঠিক করেছেন, যার নাম ফাইভ টি’স।
কী এই ফাইভ টি’স প্ল্যান? কেজরিওয়াল জানান, ‘আমাদের এই একশন প্ল্যানে পাঁচটি টি – টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট, টিম ওয়ার্ক ও ট্র্যাকিং। প্রথম টি হল টেস্টিং। আমরা যদি টেস্ট না করি তাহলে জানতে পারবো না কোন বাড়ির লোক আক্রান্ত। দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু ব্যাপকভাবে এই টেস্টিং করছে। আমরাও সেইভাবেই প্রত্যেকের টেস্টিং করব।’ এরপর তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় টি হল ট্রেসিং। এটা আমাদের খুব ভালোভাবে করতে হবে। এর জন্য আমাদের পুলিশের সাহায্য দরকার। আমরা তাদের প্রায় ২৭,০০০ ফোন নম্বর দিয়েছি। এদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। সত্যিই এই ব্যক্তিরা বাড়িতে থাকছেন কিনা সেটা পুলিশকে দেখতে হবে।’
এছাড়া তিনি আরও জানান যে, দিল্লীর সংক্রামিত এলাকা গুলিতে বাসিন্দাদের পরীক্ষা করা হবে। এই জন্য ইতিমধ্যেই ৫০,০০০ টেস্ট কিটের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে জানান কেজরি। তাঁর দাবি, ‘এখনও পর্যন্ত দিল্লীর হাসপাতালগুলিতে প্রায় তিনহাজার আসন রয়েছে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য। আমরা সেই সংখ্যাকে বাড়াচ্ছি। এছাড়া হোটেল ও ধর্মশালাতেও আরও ৮০০০ আসন তৈরি করা হচ্ছে। এরপর থেকে যেসব মানুষদের শারীরিক অবস্থা করোনার ফলে খুব উদ্বেগজনক হয়ে পড়বেন তাদের হাসপাতালে এবং যারা অনেকটাই বিপদমুক্ত থাকবেন, তাদের ওই হোটেলের শয্যায় চিকিৎসা করা হবে।’ কেজরিওয়ালের আশা, এই পদক্ষেপের ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে করোনা সংক্রমণ।