ইতালি, ইরানের মত ইংল্যান্ডেও ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। তাই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় আগেই বাকিংহাম প্যালেস থেকে রানি এলিজাবেথকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল উইন্ডসর ক্যাসেলে। কিন্তু সেখানেও এখন দেখা দিয়েছে বিপদ। ক্যাসেলের এক কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ জীবাণু মেলায় রানিকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে খবর। যদিও তাঁর কোনও অসুস্থতা নেই, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। এমনকী তিনি নিজেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজপরিবারের দেখভাল করেন, এমন এক সদস্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেইসময় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই উইন্ডসর ক্যাসল থেকে তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। ব্রিটেনের পত্রিকাগুলোর খবর অনুযায়ী, এই কর্মীর সংস্পর্শে আসা প্রাসাদের সমস্ত কর্মীকেই সেলফ আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। গোটা প্রাসাদে সবমিলিয়ে মোট ৫০০ জন কর্মী রয়েছেন। সকলকে আইসোলেশনে পাঠানোর খবর প্রকাশিত হতেই আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বাকিংহাম প্যালেস থেকে জানানো হয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ, ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রানি এলিজাবেথকে বাকিংহাম প্যালেস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় উইন্ডসর ক্যাসলে। তবে তার পিছনে গ্রীষ্মের ছুটি কাটানোর তত্ব খাড়া করা হয়েছিল রাজপরিবারের তরফে। বলা হয়েছিল, সদ্য রাজপরিবার ত্যাগ করা হ্যারি-মেগান এবং তাঁদের পুত্র আর্চির সঙ্গে সময় কাটাবেন রানি এলিজাবেথ। কিন্তু সেই ছুটি কাটানোর আবহের মাঝেই করোনা সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে গিয়েছে ব্রিটেনে। ফলে ছুটির আনন্দ মাটি তো হয়েইছে। তার উপর উইন্ডসর ক্যাসলেরই কর্মী করোনা আক্রান্ত।
এমতাবস্থায় রানিকে নিয়ে তাই আর ঝুঁকি নেয়নি কেউ। ব্রিটিশ রাজপরিবারের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে এখনও অনেকের মধ্যে সচেতনতা আসেনি। সেটাই উদ্বেগের। তবে রাজপরিবারের সদস্যরা নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে খুবই সচেতন। তাঁরা নিজেদের এবং দেশবাসীর সুরক্ষার জন্য যা যা করার, সবই করবেন।’