দিল্লীর ঘটনা জাতীয় লজ্জা। এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে দিল্লীর হিংসার ঘটনা নিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, দেশের নাগরিকের জীবন, স্বাধীনতা এবং সম্পত্তি রক্ষায় সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। হিংসা রুখতে ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান সোনিয়া গান্ধী।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে দিল্লীর বুকে যে তাণ্ডব চলেছে, তা ভীষণ উদ্বেগের। ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০-র বেশি জখম। এই ঘটনা জাতীয় লজ্জা।’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘হিংসা মোকবিলায় কেন্দ্র সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’ গতকাল দিল্লী হাইকোর্টও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পুলিসের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে আরও এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দিল্লীর স্পেশ্যাল পুলিস কমিশনার (আইন এবং শৃঙ্খলা) এসএন শ্রীবাস্তব বলেন, ‘পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।’অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারও করা হবে বলে জানান তিনি। তবে, ঘটনার ৪দিন পর পুলিশের এই তত্পরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ পুলিস এবং প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী ছিল না বলেও অভিযোগ তোলা হচ্ছে।