জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর উপত্যকার সাধারণ মানুষের মানুষের সঙ্গে মিশে বিরিয়ানি খেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার দিল্লীতেও সংঘর্ষের ময়দানে হাজির সেই অজিত ডোভাল। বুধবার দিল্লীর হিংসা উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। জানা গেছে, দিল্লীর দাঙ্গাবিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। সেই হেতুই তিনি বুধবার গিয়েছিলেন উপদ্রুত জাফরাবাদ এলাকায়। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, এখানে শান্তি বজায় থাকবে।’
ডোভাল এদিন পুলিশের কনভয় নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় যান। আর সেখানে গিয়েই খানিক অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। সেখানে এক ছাত্রী তাঁকে বলেন, ‘আমরা রাতে ঘুমোতে পারছি না। আমরা সবসময় আতঙ্কে আছি। আমি পড়াশোনা করতে পারছি না।’ নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে ডোভাল বলেন, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। পুলিশ ও সরকারের দায়িত্ব শান্তি রক্ষা করা।’ সেই ছাত্রী বলেন, ‘পুলিশ নিজের কাজ করছে না। আপনি কি এজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেবেন?’ এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, এই বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
নিজে উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে ডোভাল দিল্লী পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) এস এন শ্রীবাস্তবের সঙ্গে কথা বলেন। রাজধানীতে শান্তিরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। তবে এসবের মধ্যেই মৃত্যু মিছিল বেড়েই চলেছে সেখানে। সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের আগুন জ্বলছে রাজধানীর উত্তর-পূর্বে। ইতিমধ্যেই এই সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রায় ২০০ মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
প্রসঙ্গত, এদিন উত্তর-পূর্ব দিল্লীর জাফরাবাদ, মৌজগঞ্জের গলি-মহল্লায় ঢুকে কথা বলেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভাল। কোথাও কোনও জটলা দেখলেই কাছে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশ্বস্ত করে বলেছেন, পর্যাপ্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন রয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। একটি জটলায় এক মহিলাকে তিনি বলেন, ‘সম্প্রীতির ভাব বজায় রাখুন। আমাদের একটাই দেশ। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে থাকব। সবাই মিলেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’