বাজেটে ঘোষিত প্রস্তাবগুলি আদৌ কতটা ফলপ্রসূ হবে সে কথা জানতে শুক্রবার নীতি আয়োগে বৈঠক ডেকেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আর সেখানেই একঝাঁক শিল্পপতি, কর পরামর্শদাতা এবং বণিকসভার প্রতিনিধিরা সাফ জানিয়ে দিলেন, এই বাজেট ঘোষণা মোটেই যথেষ্ট নয়। সরকারের থেকে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। আয়কর কাঠামো এবং কর্পোরেট কর সরলীকরণ নিয়েও শিল্পমহল ও আয়কর পরামর্শদাতা প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন।
যদিও অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বাজেট ঘোষণাই যথেষ্ট নয়। আগামীদিনে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও নানাবিধ ব্যবস্থা সরকার নেবে এবং ঘোষণা করবে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত। তিনি এ-ও জানান, প্যান কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। আগামী আর্থিক বছরেই প্যান কার্ড পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এদিকে একের পর এক সরকারি ঘোষণা অথবা বাজেট ঘোষণাতেও অর্থনীতির হাল হকিকৎ নিয়ে সরকার যথেষ্ট সংশয়ে। দিল্লী ভোটের ফলাফলে আতঙ্কিত মোদী সরকার এবার সামাজিক সুরক্ষায় বিপুল অর্থবরাদ্দের পথে হাঁটতে চলেছে। তাই সরাসরি পাঁচটি মন্ত্রককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি, নারী ও শিশুকল্যাণ, শ্রম,গ্রামোন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই পাঁচটি মন্ত্রককে বলেছে, একটি সামগ্রিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প তৈরি করতে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দারিদ্র কমানোর লক্ষ্যে এই কমিটি কাজ করবে। ওই পাঁচটি মন্ত্রককে বিশেষ করে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে সেইসব প্রকল্পই গ্রহণ করতে, যেখানে কমসংস্থানের সুযোগ আছে। আর শুধু কমিটির সদস্য হয়ে থাকলেই চলবে না। প্রত্যেক ১০০ দিনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট করতে হবে কোন মন্ত্রক কী কী প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং বাজেটে ঘোষিত প্রকল্পে কত কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।