প্রেমের মরশুমে বাঙালি তো আহ্লাদে আত্মহারা! কিন্তু কেন?? একে তো আজ প্রেমের দিন তাতে আবার ভোজনরসিক বাঙালির পাতে অসময়ের ইলিশ। আত্মহারা হওয়ার মতোই তো ব্যাপার। ভ্যালেনটাইনস ডে তে এমন দিনে পাতে পড়বে সমুদ্রের রুপোলি শস্য, উত্তর বাংলায় তা কারও কল্পনাতে ছিল না। কিন্তু সেই কল্পনাই বাস্তবায়িত করে দেখাল আলিপুরদুয়ার শহরের সরকারি ‘সুফল বাংলা’ স্টল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শহরে সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি হল পদ্মার ইলিশ। আর তা কিনতেই লম্বা লাইন দেখা গেল ক্রেতাদের।
সুফল বাংলা স্টল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক কষ্টে ক্রেতাদের আবদার মেটানোর জন্যই মাত্র ১৪টি ইলিশ আনা হয়েছিল। প্রত্যেকটি ইলিশের ওজন এক কেজি থেকে সামান্য কম। ১৪টি ইলিশের মোট ওজন ছিল ১১ কেজি। ১৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে অময়ের এই রুপোলি শস্য।
মাঘের শেষে আচমকা কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে ছোট-বড় ইলিশের আমদানি হয়েছে। সকলের প্রশ্ন ছিল, এল কোথা থেকে? জল্পনায় দাঁড়ি টেনে রাজ্যের মৎস্য দফতর জানাল, দিঘা-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলে ধরা পড়েছে এই ইলিশ।
মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ব্যাখ্যা, ‘এ বছর বর্ষার যে সময় ইলিশ গভীর সমুদ্র থেকে নদীতে ডিম পাড়তে ঢোকে, সেই সময় আবহাওয়ার কারণে সব ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীর অভ্যন্তরে ঢোকেনি। ইলিশের কিছু ঝাঁক মোহনা দিয়ে নদীতে না-ঢুকে সমুদ্র উপকূলে থেকে গিয়েছিল। কোনও কারণে বর্ষা চলে যাওয়ার পরেও এরা ফিরে যায়নি। দিঘা-শঙ্করপুর থেকে যে ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, সেই ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরা এই ইলিশ ধরেছেন। সেই ইলিশই ঢুকছে।’