চীনে ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। একদিনে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে নয়া রেকর্ড সৃষ্টি হল। গত সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেটাই ছিল এতদিন একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড। যা ভেঙে গেল বুধবার। গতকাল মারণ ভাইরাসে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩১০।
চিকিৎসক মহলের দাবি, আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার সার্সে অনেক বেশি ছিল। করোনা ভাইরাসে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তুলনায় মৃত্যুর হার নাকি যথেষ্টই কম। কিন্তু এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত। প্রাথমিকভাবে হুবেইয়ের বেআইনি পশু বিক্রির বাজার থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সূত্রপাত বলে ধারণা। যার ফলে হুবেই প্রদেশে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
৯৯ শতাংশ মৃত্যুই চীনের মূল ভূখণ্ডে ঘটেছে। কিন্তু যে এক শতাংশ চীনের বাইরে, সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। তবে চীনা বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, এই মাসের শেষের দিকে চরম আকার নেবে এই রোগ। বুধবার আরও ১৪,৮৪০ জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮,২০৬। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের চিকিত্সায় বৃহস্পতিবার থেকে নয়া প্রক্রিয়া চালু করা হবে।
ব্রিটেনে সংক্রমণের খবর জানা গেলেও এত দিন লন্ডনে কোনও আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার সে খবরও মিলেছে। সংবাদমাধ্যমের দাবি, লন্ডনে প্রথম যে আক্রান্তের হদিস মিলেছে, তিনি সম্ভবত এক মহিলা। জেনিভায় এক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন করোনা ভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করেছে ‘কোভিড–১৯’।