গুড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে বিক্ষোভের ঝড় বয়ে গিয়েছিল রাজধানীর রাজপথে। পাঁচ বছরের মেয়ের যোনি ছিন্নভিন্ন করেছিল দু’জন অপরাধী। দিল্লীতে নৃশংস সেই নির্যাতনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সাত বছর আগেকার সেই ঘটনার দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লীর এক আদালত। সাজা ঘোষণা হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি।
দুই অভিযুক্ত মনোজ শাহ ও প্রদীপের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। আজ এই মামলার শুনানি ছিল দিল্লীর কারকারডোমা আদালতে। বিচারক বলেন, “আমাদের সমাজে শিশুকন্যাদের দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়। পাঁচ বছরের মেয়ের উপর যে বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছিল তার কোনও ক্ষমাই হয় না। ঘটনার বীভৎসতা সব সীমাকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল।”
নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের আগে এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল দেশ। ২০১৩ সাল। পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ‘গুড়িয়া’কে অপহরণ করে নৃশংস নির্যাতন চালায় তার দুই প্রতিবেশী। শরীরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তেলের শিশি, মোমবাতি। ধর্ষণের পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট্ট মেয়েটাকে ঘরে তালাবন্ধ করে পালিয়ে যায় দু’জন। ৪০ ঘণ্টা পরে গুড়িয়াকে উদ্ধার করা হয়েছিল সঙ্কটজনক অবস্থায়। এইমসে দীর্ঘ কয়েক মাসের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয় সে।
গুড়িয়াকে ধর্ষণ ও অত্যাচারের ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্র। দোষীদের গ্রেফতারি ও কঠোর শাস্তির দাবি রাজধানীর রাজপথে নেমেছিল মোমবাতি মিছিল। সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ-ধর্নায় বসেছিলেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরাও। দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার লোক।