দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্নগামী। জিডিপি বৃদ্ধির হার কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। অর্থমন্ত্রীর পেশ করা খতিয়ানে দেখা গেছে জিডিপি বেড়েছে মাত্র ৪.৫ শতাংশ হারে। অথচ, কেন্দ্রের শাসকদলের সদস্যরা অর্থনীতির এহেন গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠিকে গুরুত্বই দিতে চাইছেন না। অধিকাংশ, বিজেপি নেতাই জিডিপির এই পরিসংখ্যান মানতে নারাজ। দেশে যে আর্থিক মন্দা চলছে, বা ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, তা মানতে চাইছেন না খোদ অর্থমন্ত্রীও। জিডিপিকে অবহেলা করতে গিয়ে এবার আর এক বিজেপি নেতা মাত্রা ছাড়ালেন। নিশিকান্ত দুবের মতে, জিডিপি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই নয়। ভবিষ্যতে এটা কোনও কাজেই লাগবে না।
বিজেপির এই সাংসদ জিডিপিকে গুরুত্বহীন বোঝাতে একাধিক ধর্মগ্রন্থেরও উদাহরণ টেনেছেন। নিশিকান্তের মূল বক্তব্য হল, জিডিপি কোনও ধর্মগ্রন্থের মতো পবিত্র কোনও বস্তু নয়, যে একে এত মান্য করতে হবে। তাঁর মতে বিষয়টি একেবারেই গুরুত্বহীন। তিনি বলছেন,”জিডিপি তো এসেছে ১৯৩৪ সালে। তাঁর আগে এমন কোনও হিসেবই ছিল না। জিডিপিকে বাইবেল বা রামায়ণ-মহাভারত মনে করাটা ঠিক নয়। তাছাড়া ভবিষ্যতে জিডিপির খুব একটা ব্যবহারও থাকবে না।” দেশ তথা দেশবাসীর সার্বিক উন্নয়নের নতুন ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলছেন, “আজকের নতুন তত্ত্ব বলছে, সাধারণ মানুষের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন হচ্ছে নাকি হচ্ছে না, সেটা দেখা। জিডিপির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন। মানুষ কতটা খুশি সেটা বেশি বিচার্য।”
বাজারে চাহিদার অভাব থাকা সত্ত্বেও তরতর করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। প্রায় সমস্ত সেক্টরেই পড়ছে মন্দার প্রভাব। কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ জিডিপির পরিসংখ্যানকেই মূল্যহীন করে দিতে চাইলেন। যা বেশ হাস্যকর বলেই মনে হচ্ছে