রাজ্যে ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কার্যত ‘হোয়াইট ওয়াশ’ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। কমেছে ভোট শতাংশও। দলের এ হেন বিপর্যয় নিয়ে মুখ খুলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এনআরসিই ব্যুমেরাং হয়েছে তাঁদের জন্য। পাশাপাশি তিনি এ কথাও জানিয়েছিলেন যে, ‘নির্বাচনী প্রচারে কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা ছিল, সভা-সমাবেশে যে আগ্রহ দেখা গেছে তার সঙ্গে ভোটের ফল মিলছে না। গভীর বিশ্লেষণ না করলে কিছুই বলা সম্ভব নয়।’ সেই মতোই তৃণমূলের কাছে গোহারা হওয়ার ব্যাখ্যা খুঁজতে শুক্রবার দিনভর ব্যস্ত ছিলেন ৬ মুরলীধর সেন লেনের ম্যানেজাররা। রাজ্যের ইস্যুর বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের খামতির দিকগুলি উঠে এসেছে সেই আলোচনায়। বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক মন্দা, ব্যাঙ্কে সুদ হ্রাস সহ জাতীয় পর্যায়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নানা ব্যর্থতাই রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হারের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে আসছে।
গতকাল রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে প্রত্যেকটি ঘরে কান পাতলে শোনা গিয়েছে উপনির্বাচনের ফল নিয়ে কাঁটাছেড়ার গল্প। আর শেষমেশ প্রায় সকলেই তিন কেন্দ্রে পরাজয়ের দায় মোদী-শাহের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। একদিকে, দ্বিতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দর, ব্যাঙ্কে সুদের হারে কোপ, শ্লথ আর্থিক বৃদ্ধি ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন কর্মী-নেতাদের একাংশ। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে লোকসভা-রাজ্যসভা থেকে শুরু করে মিটিং-মিছিলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের অনড় অবস্থান ভোটে উল্টো ফল দিয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। অর্থাৎ ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই তৃণমূলের কাছে এমন ল্যাজেগোবরে হয়ে সরাসরি মোদী-শাহের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।