দিনকয়েক আগে দলীয় ঝামেলার কারণে প্রাণ হারান ২ বিজেপি কর্মী। এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিহত ২ কর্মীর পরিবারকে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। কিন্তু না অন্যান্য বারের মত এবারেও প্রমাণিত হল বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখতে জানে না। তাই গতকাল সভা হলেও ওই ২ পরিবার পেলেন টাকার চেক।
এদিন প্রথম থেকেই ওই সভামঞ্চে নিহত বিজেপি কর্মী কাশীনাথ ঘোষ ও আমির আলি খানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চেক না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন বলেই তাঁরা ওই সভায় এসেছিলেন। সাহায্য তো পেলেনই না উল্টে তাঁদের কোনও কথাও বলা হয়নি।
এদিনের সভায় নিহত দুই কর্মীর স্মরণে নীরবতা পালন না হওয়ায় দলের কর্মীদের একাংশ ক্ষুব্ধ। এমনকী, মঞ্চের ডানদিকে থাকা নিহত দুই বিজেপি কর্মীর ছবিতে মঞ্চে উপস্থিত থাকা বিজেপির রাজ্য ও জেলা নেতাদের ফুল দিতেও দেখা যায়নি। নিহত আমির আলির স্ত্রী টগরি বেওয়া বলেন, দলের তরফে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো এদিনের সভায় আমাদের হাজির থাকতে বলা হয়। কিন্তু, সভা শেষে সেই সাহায্য আমরা পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমি বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, চেক তৈরি হয়নি।
অন্যদিকে, এদিনের জনসভার আগেই আরামবাগের বলুণ্ডিতে তৃণমূলের একটি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূলের তিন মহিলা ও এক পুরুষ সদস্যকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরামবাগ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি গোটা রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু, এভাবে আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মী সমর্থকদের মারধর করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে না বিজেপি। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে।