মহারাষ্ট্রে দু সপ্তাহ ধরে চলা নানা টালবাহানার পর জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এনডিএ-র সঙ্গে শিবসেনার জোট সরকার গড়ার ঠিক প্রাকমুহূর্তে সমর্থন তুলে নিয়ে জোট থেকে বেরিয়ে আসে এনডিএ ও কংগ্রেস। সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েন ও মহারাষ্ট্রে এনডিএ জোট ভাঙার জন্য এবার সরাসরি অমিত শাহকেই দায়ী করল শিবসেনা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে আলোচনা হলেও তিনি তা নরেন্দ্র মোদীকে জানাননি বলেই অভিযোগ এনেছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহারাষ্ট্রের সমস্যার জন্য অমিত শাহকে দায়ী করেন শিবসেনার মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে আসন সমঝোতা করার সময় এই বিষয়ে অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সেসময় রাজ্যে দুটি দলের তরফে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী রাখার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু, এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি তিনি। ফলে ‘৫০-৫০ ফর্মুলা’ সম্পর্কে অন্ধকারেই ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রতিটি জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ফডনবিশই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। অন্যদিকে উদ্ধব ঠাকরেও প্রতিটি জনসভায় বলেছিলেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবসেনা থেকে। এই সমস্ত দেখেও তখন কেন চুপ ছিলেন অমিত শাহ? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন উদ্ধব। ওই সময় তিনি যদি প্রধানমন্ত্রীকে ৫০-৫০ ফর্মুলার কথা বলতেন, তাহলে আজকে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এরকম হত না। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি যে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে অমিত শাহের মিটিংয়ে যা কথা হয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়নি। বিষয়টি আমাদের খুবই অবাক করেছে।’