কলকাতা লিগ হাতছাড়া হলেও সিকিমে গিয়ে গভর্নরস গোল্ড কাপ জিতে নিল সাদা কালো ব্রিগেড। তাও আবার ঘরোয়া দল সিকিম হিমালয়ান এফসিকে হারিয়ে। খেলার ফল ২-১। মহামেডানের হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক তরুণ ভানলালবিয়া ছাংতে। হিমালয়ান এফসির হয়ে একটি গোল নিমাকোর। এই বছর কলকাতা লিগে দীর্ঘদিন পর খেতাব জয়ের কাছে এসেও শেষমেশ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল মহামেডানের। তবে তীর্থঙ্কর সরকার, ভানলালবিয়া ছাংতেদের খেলা প্রমাণ করেছিল এই মরশুমে বেশ চমক দেবে কলকাতার তৃতীয় প্রধান। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের সেই ভবিষ্যতবাণীই যেন একেবারে মিলে গেল।
কলকাতা লিগে সুব্রত ভট্টাচার্য কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর দলের দায়িত্ব নেন শাহিদ রামন ও দীপেন্দু বিশ্বাস (টিডি)। দুজনের দক্ষ প্রশিক্ষণে মরশুমের শুরু ছন্নছাড়া ভাব অচিরেই কাটিয়ে ওঠে মহামেডান। কলকাতা লিগে দলের তরুণ বাঙালি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল। সিএফএল থেকে খালি হাতে ফিরতে হলেও সিকিম থেকে খালি হাতে ফিরতে চাননি খেলোয়াড়রা।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলে ফাইনালে পৌঁছায় সাদা কালো বাহিনী। কিন্তু প্রতিপক্ষ সিকিম হিমালয়ান এফসিকে পালজোর স্টেডিয়ামে আগে কখনও হারাতে পারেনি মহামেডান। তবে এই চ্যালেঞ্জটা নিতে যেন তৈরিই ছিলেন দলের সকলে। ম্যাচের আগে নিজেদের ফেভারিট মানতে চাননি কোচ রামনও।
তবে এদিন ফাইনাল ১.৩০ থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হয় দুপুর ২ টোয়। ম্যাচের শুরুতে মাত্র ৪ মিনিটেই ছাংতের গোলে এগিয়ে যায় মহামেডান। প্রথমার্ধে লিড ধরে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫ মিনিটে হিমালয়ান এফসিকে ম্যাচে সমতায় ফেরান নিমাকো। যদিও নাটকীয়তার তখনও অনেকটাই বাকি ছিল। ঘরোয়া বাহিনী ম্যাচে সমতা ফেরানোর মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে দলকে ফের এগিয়ে দেন সেই ছাংতে। এরপর আর স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন হয়নি। যার ফলে শেষমেশ এই টুর্নামেন্ট জিতে নেয় মহামেডান।