গত আগস্টেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছিল মোদী সরকার। আর এবার গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী আর প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার এসিপিজি নিরাপত্তা ছেঁটে জেড প্লাস করে দেওয়া হয়েছে। যার পিছনে শাসক শিবিরের যুক্তি, গান্ধী পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে এসপিজির সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। নিয়ম ভেঙেছেন। তাই তাদের এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যে একাধিক বার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, সে কথা তুলে ধরেই এবার কেন্দ্রকে বিঁধল কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ‘নিরাপত্তা না নেওয়াই যদি কারণ হয়, তা হলে প্রধানমন্ত্রীও দোষী। প্রধানমন্ত্রীর ফোটো তোলার সময়ে ধারে কাছে কেউ ঘেঁষতে পারেন না। এমনকি তাঁর রক্ষীরাও নন। যাতে ফোটো খারাপ না হয়। অথচ, নিয়ম মতো প্রধানমন্ত্রীর চার পাশে সব সময়ে এসপিজি কর্মীদের থাকার কথা। দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এসপিজির ব্লু-বুক মেনে চলেন না। এমনকি একটি তথ্যচিত্রের শুটিংয়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ভেলার আশে পাশে কোনও নিরাপত্তা রক্ষীকে দেখা যায়নি। এটা নিরাপত্তার গাফিলতি নয়? রাহুলের নিরাপত্তাজনিত নিয়ম ভাঙা নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে এ নিয়ে কেন উঠবে না?’
প্রসঙ্গত, গুজরাতের বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে সাবরমতীর জল থেকে সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমানে উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি এই ভাবে সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমানে চড়তে পারেন? এটা কি নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখানো নয়? আবার কেদারনাথে মন্দির চত্বরেও একা হাঁটতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। সেসময়ও ধারে কাছে ছিল না কোনও নিরাপত্তা রক্ষী। এমনকী পুলওয়ামাতে জঙ্গী হামলার দিন করবেটের জঙ্গলে শুটিং করছেন তিনি, তখনও উপস্থাপকের সঙ্গে একাই ভেলায় নদী পার হন তিনি। একাধিক ক্যামেরার কোনও ফ্রেমেই দেখা মেলেনি নিরাপত্তা কর্মীদের।
এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীকে একাধিক রোড শোয়ে হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে ভিড়ের সঙ্গে হাত মেলাতে বা ভিড়ে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির পা-দানিতে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, রাহুল গাড়ির মাথায় চড়েছেন বলে শাসক শিবির তাঁর বিরুদ্ধে মোটর ভেহিক্যাল আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। রাহুল যদি দোষী হন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন ছাড় পাবেন?