দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আইনি মামলায় যবনিকা টেনে আজ অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। বিতর্কিত জমির মালিকানা পেয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাস। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির হবে। কিন্তু, আপাতত বিতর্কিত ওই জমির তত্ত্বাবধান করবে একটি ট্রাস্ট। আর বিকল্প পাঁচ একর জমি পাবে মুসলিমদের পক্ষের ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের দেওয়া রায়ের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
১) আদালতের এই রায় সর্বসম্মত। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচজন বিচারপতির সম্মতিতেই এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে কোনও বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেননি।
২) কারও আস্থা বা ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে এই রায় দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্তটি শুধুমাত্র জমি আইনের উপর ভর করে নেওয়া হয়েছে।
৩) রায় ঘোষণার আগে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মূলত ৪ জন দাবিদার ছিল। শিয়া ওয়াকফ বোর্ড, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রাম জন্মভূমি ন্যাস, নির্মোহী আখড়া। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট এদিন শিয়া ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে দেয়। শিয়া ওয়াকফ বোর্ড কোনও জমির মালিকানা পাবে না। নির্মোহী আখড়া সেবায়েত নয়, ওই জমিতে তাঁদের কোনও অধিকার নেই।
৪) ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার নিন্দা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ১৯৪৯ সালে গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠারও নিন্দা করা হয়েছে।
৫) রায়ে রামলালাকে একজন দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রামলালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাসকে। রামলালাকেই বিতর্কিত ২.৭ একর এবং সরকার অধিকৃত ৬৭ একর জমি দেওয়া হবে।
৬) আপাতত কেন্দ্রকে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করা হবে। এই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হবে রাম মন্দির।
৭) সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প হিসেবে ৫ একর জমি দেওয়া হবে। অযোধ্যার কোনও জায়গায় এই পাঁচ একর জমি দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে ঠিক করবে কোথায় জমি পাবে মুসলিমরা।