বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মত পার্থক্যের জেরে জেরবার রাজ্য রাজনীতি। কখন রাজ্যপাল সরকারের প্রশংসা করেছেন, আবার কখন রাজ্য সরকার সম্পর্কে আলটপকা মন্তব্য করে বসছেন। এই টানাপোড়েন সম্পর্কে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে রাজ্যবাসী। শুধু তাই নয়, চলছে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের পালা। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তোপের পাল্টা বিবৃতি দিয়ে দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
স্বাস্থ্যসাথী বনাম আয়ুষ্মান ভারত শীর্ষক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার লিখেছে, “আয়ুষ্মান ভারত ১.১২ কোটি পরিবারকে এই সুবিধে দেবে বলেছে। আর স্বাস্থ্যসাথী ইতিমধ্যেই দেড়কোটি পরিবারকে এই পরিষেবা দিচ্ছে।” ওই বিবৃতিতে এও দাবি করা হয়েছে, যে পরিবারগুলি আয়ুষ্মান ভারতের আওতার মধ্যে পরার কথা ছিল, সেই প্রত্যেকটি পরিবারই স্বাস্থ্যসাথীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
এখানেই থামেনি স্বাস্থ্য দফতর। দেড় পাতার বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আয়ুষ্মানে ৩০ টাকা করে জন প্রতি দিতে হয়। একটি পরিবারে ৫জন সদস্য থাকলে দিতে হবে ১৫০ টাকা। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথীতে কোনও তাকাই দিতে হয় না। পুরো পরিষেবাই সরকার দেয় বিনামূল্যে। দুটি প্রকল্পেই পরিবার পিছু বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার বিমার আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে বাংলার সরকার আরও বলেছে, স্বাস্থ্যসাথীতে স্মার্ট কার্ড আছে এবং সেটা মহিলাদের নামে। এটা মহিলাদের ক্ষমতায়নেরও একটা দিক। আয়ুষ্মানে সে সব কিছুই নেই।