নিজেদের দেওয়া কথা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল পাকিস্তান। এটাই হয়তো তাদের স্বভাব। কিছুদিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে মুখে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা এদিন রীতিমতো পাল্টে ফেললেন তাঁরা। এদিন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়ে দিয়েছেন, করতারপুর করিডর ব্যবহার করার জন্য ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের পাসপোর্ট থাকাটা বাধ্যতামূলক।
১ নভেম্বর কর্তারপুরে দরবার সাহিব গুরুদ্বারগামী ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য একাধিক ছাড় ঘোষণা করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টুইট করে ইমরান জানান, ‘ভারত থেকে যে শিখরা করতারপুরে আসছেন, তাঁদের দুটি জিনিসে ছাড় দিচ্ছি। তাঁদের পাসপোর্ট থাকার প্রয়োজন নেই। শুধু বৈধ পরিচয় পত্র থাকলেই চলবে। তাঁদের ১০ দিন আগে নাম নথিভুক্ত করারও দরকার নেই। উদ্বোধনের দিন ও গুরুজির ৫৫০তম জন্মবার্ষকীতে তাঁদের কোনও ফি-ও দিতে হবে না।’
অক্টোবরেই কর্তারপুর করিডর চালু করার ব্যাপারে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীরা ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানের দরবার সাহিবে যেতে পারবেন। দৈনিক ৫,০০০ তীর্থযাত্রীর গুরুদ্বার দর্শনের অনুমতি রয়েছে। ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লঙ্গর ও প্রসাদের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তান। ১২ নভেম্বর গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী। তার আগে শনিবার করতারপুর করিডরের উদ্বোধন করবেন ইমরান খান। কিন্তু ইমরান কিছুদিন আগেই যেই প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন, তা পালন করতে অস্বীকার করায়, নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে।