লোকসভা নির্বাচনের পরে হিড়িক উঠেছিল দলবদলের। সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে বেশ কিছু তৃণমূল নেতাও যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মোহভঙ্গ হয়েছে সকলের। তাই গেরুয়া শিবির পরিত্যাগ করছেন সকলেই। সকলেই বুঝতে পারছেন মানুষের জন্যে কাজ করার একমাত্র ঠিকানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। এই একই চিত্র এবার উঠে এল কাটোয়াতেও।কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় উৎসবের মরশুমে দফায় দফায় বহু বিজেপি কর্মী তৃণমূলে ফিরছেন।
এভাবে এত মানুষ যে ফের তৃণমূলে ফিরলেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচী দিদিকে বলোকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চচট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচী সবদিক থেকেই মানুষের কাজে এসেছে। অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। মানুষের সুবিধার পাশাপাশি দলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছেন বিজেপি কখনও মানুষের জন্যে কাজ করবে না , তাই সকলেই ফিরছেন তৃণমূলে”।
লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরেই ঘর গোছানোতে মন দেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক রবীন্দ্রনাথ। তারপরেই শুরু হয় দিদিকে বলো। যা অত্যন্ত কাজ দেয়। আর তারপরে এনআরসির জেরে মানুষ আরও বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে বিজেপির ওপর। ফলে দলত্যাগীরা ফের ফিরতে থাকেন মমতার ছত্রছায়ায়।
পরিসংখ্যান বলছে কাটোয়া পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ড -সহ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং দাঁইহাট পুর এলাকার ৫০০ বিজেপি নেতা যোগ দেন তৃণমূলে। কালীপুজোর আগেও প্রায় ৩০০ জন আসেন।
তৃণমূলে যোগ দেওয়া সকলেই জানাচ্ছেন, তাঁরা সকলেই বিজেপির ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এর সাথে আছে এনআরসি আতঙ্ক, রেশন কার্ড, আধার কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি। এছাড়াও পেট্রোল, রান্নার গ্যাসের মূল্য বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি তো আছেই। তাই সকলেই বুঝতে পারছেন মানুষের পাশে থাকবেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সকলের আস্থা থাকছে তৃণমূলেই।