চা শিল্পকে উজ্জীবিত করতে চা বাগানের জমিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার অনুমতি দেবে রাজ্য সরকার। চা শিল্পকে বাঁচাতে কর্মী ছাঁটাই না করে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চা বাগানের ১৫ শতাংশ জমিকে ‘টি ট্যুরিজম’-এর জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। ওই ১৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৪০ শতাংশ জমিতে যে কোনও নির্মাণ অর্থাৎ রিসর্ট, ইকো ট্যুরিজম রেস্তরাঁ, ট্যুরিজম হাব করার অনুমতি দেবে রাজ্য সরকার। তবে সবটাই হবে পরিবেশ বান্ধব।
বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ইকো ট্যুরিজমের উপর জোর দিতে চাইছে নবান্ন। এর ফলে চা বাগানের মালিকদের যেমন আয় বাড়বে, তেমনই চা শিল্পের অগ্রগতিও হবে। তবে এ ব্যাপারে অনুমতি দেবে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে স্ক্রিনিং কমিটি। সেই কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে চা বাগানের মালিকদের।
উত্তরবঙ্গের ইসলামপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত রাজ্যে ৩০২টি চা বাগান রয়েছে। যেখানে চা শ্রমিকের সংখ্যা কমপক্ষে চার লক্ষ। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে আটটি আর জলপাইগুড়ি জেলায় ১০টি সহ প্রায় ২২টি চা বাগান বন্ধ রয়েছে। অনেক বাগানে চা শ্রমিকরা এখন পুজোর বোনাস পর্যন্ত পাননি। বেশ কিছু বাগানে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। চা শ্রমিকরা নানা সমস্যায় ভুগছেন। চা শ্রমিকদের জন্য পুজোর আগে অনশন করেছিলেন জিটিএ’র চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা ভেবেই ‘টি ট্যুরিজম’-এর উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পর্যটনকে পাখির চোখ করেছে। নতুন নতুন পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরবঙ্গে তৈরি হয়েছে গাজলডোবা পর্যটন কেন্দ্র। যা পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। এবার পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে টি ট্যুরিজম-এর উপরে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।