ভারতের আর্থিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। জিডিপি বৃদ্ধি নিম্নগামী। সেনসেক্স বলার মতো জায়গায় নেই। শেয়ারবাজার মন্দা। আর শিল্পের গতি মন্থর। এই অবস্থায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের তোলা স্লোগান সবকা সাথ সবকা বিকাশ–কে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
কী ঘটেছে দেশে? জানা গিয়েছে, ভারতে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অক্টোবর মাসে। ৮.৫ শতাংশ বেকারত্বের হার বেড়েছে দেশে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৭.২ শতাংশ। তা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশে। এককথায় দেশের এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। শুক্রবার এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি।
যে পরিকাঠামো বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী সুর চড়ান তাও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উত্পাদন এক ধাক্কায় কমেছে ৫.২ শতাংশ। যা এক দশকে নজির বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস-সহ ৭ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে এনএসএসও-র ফাঁস হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রিপোর্টে জানা যায়, বেকারত্বের হার ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছছে। গ্রাম ও শহরে বেকারত্বের হার সমান ভাবে বেড়েছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মিথ্যে তথ্য পেশ করছে কংগ্রেস। গত ৫ বছরে ৮.৭৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে শুধুমাত্র তথ্য ও প্রযুক্তিতেই। নতুন রিপোর্টেও সেই অবস্থা বদলায়নি একচুলও। সুতরাং দেশের বিকাশ কতটা হয়েছে তা এই রিপোর্ট থেকেই পরিস্কার বলে মনে করা হচ্ছে।