নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর সরকারের নজরদারি ইস্যুতে রাশিয়া এবং চীনের পরই তৃতীয় স্থান দখল করল মোদীর ভারত। ইংল্যান্ডের সমীক্ষা সংস্থা কম্প্রিটেক সূত্রে এই তথ্য মিলেছে।
কম্প্রিটেকের গোপনীয়তা মানদণ্ডে পাঁচের মধ্যে ভারত পেয়েছে ২.৫ পয়েন্ট। যা ইঙ্গিত করছে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কেন্দ্র। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য কোন দেশের সরকার কতটা সুরক্ষিত রাখছে তা জানতে মোট ৪৭টি রাষ্ট্রের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল কম্প্রিটেক। এজন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, সিসিটিভি, তথ্য আদানপ্রদান এবং যোগান আইন, সব কিছু খতিয়ে দেখে তারা।
ভারতে নাগরিকদের তথ্য গোপন রাখতে সরকারি ব্যর্থতা হিসেবে ভঙ্গুর আইন এবং বিধিকেই দুষেছে কম্প্রিটেক। কোম্পানির সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের তথ্য সুরক্ষা বিল এখনও বিল আকারেই আছে, আইন হয়নি। আধার নম্বর সারা বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম জনসংখ্যার বায়োমেট্রিক ডেটাবেস, কমপক্ষে ১.২৩ বিলিয়ন মানুষ। এর মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বিমা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে একজন নাগরিকের। আঙুলের ছাপ যাচাই করে হোয়াট্সঅ্যাপ বার্তা যাচাইও শুরুর চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার।
দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কোনও আইন নেই। এই তালিকায় ভারত ১৪০তম দেশ। ২০১৮-তেই সারা ভারতে মোট ৬ জন সাংবাদিকের মৃত্যুই তার প্রমাণ। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার পদ্ধতিও খুবই দুর্বল। যে কোনও বেসরকারি কোম্পানিই আধার কার্ডের তথ্য থেকে মানুষের গোপন তথ্য জেনে যেতে পারে।