ঘটা করে সংকল্প যাত্রার আয়োজন করেছে বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিলেও সন্ত্রাসের অব্যাহতি নেই। মিছিল থেকে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। শুধু তাই নয়, হামলা চালানো হয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়েও।
বৃহস্পতিবার ছিল বিজেপির সংকল্প যাত্রার দ্বিতীয় দিন। অন্যদিকে, দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শুটিং ক্যাম্প এলাকায় বিশাল জমায়েত করে তৃণমূল। এই খবর বিজেপি–র কাছে পৌঁছনো মাত্রই যাত্রার পথ পরিবর্তন করে ঘুরপথে বিজেপি–র যাত্রা গিয়ে পৌঁছয় পাতলাখাওয়া বাজারে। অভিযোগ, পাতলাখাওয়া বাজারে পৌঁছতেই বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা ব্যাপক ভাঙচুর চালাতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে। শুধু হামলা ও ভাঙচুর নয়, পাতলাখাওয়া থেকে পুণ্ডিবাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় বিজেপি কর্মীরা বোমা–গুলি ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সাংসদের সামনেই একের পর এক বোমা পড়তে থাকে এলাকায়। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের বাড়ি চিহ্নিত করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি–র হামলায় জখম হন অনেক তৃণমূল কর্মী। শুধু তাই নয়, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখানোর জন্য সবুজ শিবিরের এক কর্মীর আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ। মৃত ওই কর্মীর নাম মজিরউদ্দিন সরকার পাইলট। এলাকার পরিচিতি তৃণমূল কর্মী ছিলেন তিনি। হামলাকারীরা বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে শুটিং ক্যাম্প এলাকা পর্যন্ত চলে এলে, জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা মজিরউদ্দিন সরকার। তাঁকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকায় গেছেন তৃণমূল নেতারা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, পুণ্ডিবাড়িতে ভাঙচুর হওয়া দলীয় কার্যালয়ে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘নজিরবিহীন সন্ত্রাস চালিয়েছে বিজেপি, আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর কিছুই বাদ রাখেনি। আমাদের এক কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।’