একদিন আগেই নৈহাটি পুরসভা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। একের পর এক পুরসভা হারিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই অর্জুন সিং। এবার বিপদ আরও বাড়তে চলেছে ব্যারাকপুরের সাংসদের জন্য। সূত্রের খবর, এবার ভাটপাড়া পুরসভাতেও অনাস্থা আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। অনাস্থা আনার ঘুঁটি ধীরে ধীরে সাজানো হচ্ছে। তৃণমূলের পরিকল্পনা সফল হলে দীপাবলির আগে বা পরেই ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির।
এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘ভাটপাড়া পুরসভার ৩৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ জন যোগাযোগ রাখছে। ভাটপাড়াও তৃণমূলের হাতে আসবে’। তিনি আরও বলেন, ‘কাগজ তৈরি হলেই অনাস্থা আনব আমরা। আশা করছি আগামী নভেম্বর মাসে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারব। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছিল তারা এখন নিজেদের ভুল স্বীকার করছেন। দলের নীতি আদর্শ বড় বিষয়’।
লোকসভা ভোটের পর দলে দলে তৃণমূল কাউন্সিলররা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু মাস ঘুরতেই তাঁদের সিংহভাগ আবার গুটি গুটি পায়ে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন। ফলস্বরূপ উত্তর ২৪ পরগনায় গারুলিয়া, নৈহাটি-সহ অন্যান্য পুরসভা খোয়াতে হয় বিজেপিকে। একই ধারা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে খোদ অর্জুনের গড় ভাটপাড়াতেও। জানা যাচ্ছে, ওই পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন আরও দুই কাউন্সিলর কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। ফলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৩। যা বোর্ড গঠন করার জন্য যথেষ্ট, অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগারে তৃণমূল পৌঁছেই গিয়েছে বলা চলে।
ভাটপাড়ায় সর্বমোট কাউন্সিলরদের সংখ্যা ৩৫। যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, একজন বাম শিবিরের। বাকি পুরোটাই বিজেপি ও তৃণমূলের দখলে। এই অবস্থায় ভাটপাড়া পুরসভা থেকে বিজেপির ক্ষমতাচ্যুত হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই দাবি তৃণমূল শিবিরের।
এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘অর্জুন সিং যেখানে বলবে সেখানেই ভাটপাড়া পুরসভার আস্থা ভোটে হবে। প্রকাশ্যে আস্থা ভোটেও আপত্তি নেই আমাদের’। এই বিষয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।